সুরমা টাইমস ডেস্ক :: মহাবীর আলেকজান্ডার আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে যে কথা বলেছিলেন, সে একই কথা রাজা মান সিং ভাগীরথী নদীর তীরে দা়ঁড়িয়ে বলেছিলেন-যে পৃথিবীর নদীর পানি জোয়ার-ভাটায় এত তাড়াতাড়ি পরিবর্তন ঘটে,সে পৃথিবীর মানুষের মনের পরিবর্তন না জানি কত তাড়াতাড়ি ঘটে। আজ সেই গ্র্যাট আলেকজান্ডার নেই,রাজা মান সিং ও নেই। কিন্তু তাদের কথার প্রতিধ্বনিত ফলাফল আমরা সমাজ জীবনে প্রতিনিয়তই অবলোকন করে থাকি। তাদের কথার সবচেয়ে বেশি কার্যকর সত্যতা প্রমাণিত হয় নির্বাচনী লড়াইয়ের ফলাফলে। আর ওয়েস্টমিনিষ্টার ডেমোক্র্যাসির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ৩-৫% ভোটারের পক্ষ পরিবর্তনেই বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে দ্বিদলীয় শাসন ব্যবস্থা যেভাবে গড়ে উঠেছে, ঠিক তেমনিভাবে অপেক্ষাকৃত নবীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশেও তেমন একটি শাসন ব্যবস্থার দুটি রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বাইরে ছোট-বড় কিছু রাজনৈতিক শক্তি থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে প্রধান দুটি শক্তির সংস্পর্শে তারা আবির্ভূত হন গত ৫ জানুয়ারির একদলীয় বিতর্কিত নির্বাচনের পর নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্য হলেও ক্ষমতার পালাবদলে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের চাপ আভ্যন্তরীণ শক্তিগুলোর তরফ থেকে যেমন আছে,আবার বিদেশি শক্তিগুলোও সরকারকে ক্রমাগত চাপের মধ্যেই রেখেছেন। জাতিসংঘ,ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সাথে বিশ্বব্যাংক,জাইকা সহ নানা দাতা সংস্থাগুলো সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের চাপ দিচ্ছেন। চাপে রেখেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মত প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তাই গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শপথ গ্রহনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আগের দুটি সরকারের মত বিদেশ সফরে যেতে খুব একটা দেখা যায়নি। এক ধরনের অসস্থি ও অস্থিরতা তাঁর চোখে মুখে তিনি বছর জুরে লুকাতে পারেননি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2v8JRN2
August 22, 2017 at 03:21AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন