কলকাতা, ১০ আগস্ট- একদিন আগেই বিধানসভায় সখ্যতার ছবি দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যার বা তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে অন্যান্য কংগ্রেসিরা ভিন্ন অবস্থান নিলেও, তিনি এখনও পুরনো অবস্থানেই অটুট। তা এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। এদিন বিজেপি-র প্রসঙ্গ টেনে এনেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সুবিধাবাদী রাজনীতি করছেন। তাই বিজেপিকে নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে স্লোগান বদলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ভিতরে ভিতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন। সিপিএম যে অভিযোগে বারবার অভি্যুক্ত করে তৃণমূলকে, এদিন সেই কথাই উঠে এল অধীর চৌধুরীর মুখে। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞানসিং সোহনপালকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীরবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধাবাদী মুখ বারবার ফুটে উঠছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তিনি প্রয়োজনমতো স্লোগান বদলাচ্ছেন। আসলে দ্বিচারিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অধীরবাবু এদিন বলেন, নোট বাতিলের সময়ের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে হটানোর শপথ করেছিলেন। সেজন্য দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু লখনউ থংকে পাটনায় এসেই তাঁর সেই অভিযান থমকে যায়। আর সেই প্রসঙ্গ তোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর আন্দোলনও গড়ে তোলা হয়নি। তারপর তিনি বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার ডাক দিয়েছেন। সেই স্লোগান এখন বদলে গিয়েছে। তিনি বলছেন বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করব। আসলে যখন যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সুবিধাবদিতার পরিচয় রাখছেন প্রতি ক্ষণে ক্ষণে। বিজেপিকে রাজ্যে লাল কার্পেট বিছিয়ে এনেছে তৃণমূলই, এখন স্বার্থে ঘা পড়তেই তিনি সুর বদলাচ্ছেন। মমতা্র বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব হয়ে অধীরবাবু বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস যতই সখ্যতা গড়ুক, তিনি তৃণমূল বিরোধিতা থেকে এক চুলও সরবেন না। মুর্শিদাবাদের রবীনহুড তাঁর মতো করেই আক্রমণ শানিয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে। সমস্ত দলের সঙ্গেই সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলবেন তিনি।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vSapFA
August 11, 2017 at 02:43AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top