ঢাকা, ০৮ আগষ্ট- সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বাংলা চলচ্চিত্রে এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। ১৯৯৬ সালে রহস্যজনক মৃত্যু হয় এই জনপ্রিয় নায়কের। সেই সময় থেকেই সালমান শাহর পরিবার থেকে আত্মহত্যা নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সালমান শাহর বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবি হার্টথ্রব এই নায়কের মৃত্যুর বাইশ বছর পর সোমবার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সালমান শাহ এবং তা করিয়েছিলেন তারই স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার। সেসময় যদিও পুলিশ আত্মহত্যা হিসেবে দেখিয়ে অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করে কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় সালমানের পরিবার। সালমানের বাবা কমরুদ্দীন আহমেদ হত্যার অভিযোগ তোলেন। কমরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই মামলা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি অনেকবার সংবাদ সম্মেলন করেও সন্তান হত্যার বিচার চেয়েছেন। পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ, ১১ জনকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদনও করেন নীলা চৌধুরী। নতুন করে রুবির এই ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর আবারো আলোচনায় আসেন প্রয়াত সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক উইকেটকিপার-অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা ও থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসির কন্যা সামিরা কোথায় আছেন? জানা যায়, মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন সালমান শাহ। বিয়ের পর বেশ ভালোভাবেই কাটছিল তাদের সংসার জীবন। মায়ের মতো সামিরাও বিউটি পার্লারের কাজে বেশ আগ্রহী ছিলেন এবং ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারও খুলেছিলেন। তবে এক সময় সালমান-শাবনুর জুটিকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে-বাইরে কানাঘুষা শুরু হয়। আর এতে করে সালমানের সঙ্গে সামিরার মনোমালিন্য ঘটতে থাকে, বাড়তে থাকে দূরত্ব। সালমানের মৃত্যুর পর মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেন, সামিরার সঙ্গে বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং এ দুজন মিলে সালমানকে হত্যা করেছে। পাল্টা অভিযোগ করে সামিরা সেসময় জানান, নীলা চৌধুরীই আজিজ ভাইসহ অনেক পুরুষকে তার বাড়িতে নিয়ে আসত এবং এটা নিয়ে সালমান ও তার বাবা নীলার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এছাড়া সামিরা পুরো ঘটনার জন্য সালমান-শাবনুরের প্রেমকেও দায়ী করেন। সালমান শাহর মৃত্যুর কয়েক বছর পর ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করে দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড চলে যান সামিরা। সেখানে সামিরার নতুন সংসারে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। জানা যায়, থাইল্যান্ডে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখও তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন। সামিরা বাংলাদেশে তেমন আসেন না বললেই চলে। আসলেও শুধু নিকট আত্মীয়দের সঙ্গেই দেখা করেন বলেও জানা গেছে। আর/১০:১৪/০৮ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vC4apP
August 09, 2017 at 06:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন