ঢাকা, ২২ আগষ্ট- হাসপাতালের সেই কক্ষের ভেতর নায়করাজের মরদেহ। বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে বাকরুদ্ধ চিত্রনায়ক আলমগীর। তাঁর মুখে শোকের ছাপ। লাশঘরের সামনে থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে আলমগীর বললেন, পিতা মারা গেলে আর দশজন মানুষের যেমন অনুভূতি হয়, আমারও একই অনুভূতি। আমাদের পিতা মারা গেছেন। আর কিছুই বলতে পারেননি বাংলা সিনেমার দাপুটে এই নায়ক। লাশঘরের সামনে সবাই বাকরুদ্ধ। কেউ কাঁদছেন, কেউ বেদনায় নীল। সবার হৃদয়ে কেবল নায়করাজ। হার্ট অ্যাটাকের পর সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজ্জাককে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হয়। আর ৬টা ১৩ মিনিটে এমন এক দেশে তার মহাপ্রস্থান, যেখান থেকে কেউ ফেরে না কোনো দিন। মৃত্যুর খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দিগ্বিদিক। হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে থাকেন ভক্ত-অনুরাগীরা। কাঁদতে কাঁদতে আসেন ওমর সানি ও মৌসুমি। জড়িয়ে ধরেন নায়ক রাজ্জাকের ছেলে সম্রাটকে। পিতা হারিয়ে সম্রাটের চোখ তখন অশ্রুনদী। এরপর আসেন চিত্রনায়ক ফেরদৌসও। এর আগে চোখ মুছতে মুছতে বিদায় নেন নায়ক শাকিব খান। এঁদের মধ্যে চিত্রনায়ক আলমগীর আর গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ছিলেন নীরব। হয়তো দীর্ঘদিনের সহকর্মীর নানা ছবি ভেসে উঠছিল তাঁদের মানসপটে। রাত ৮টার পর সহকর্মী, স্বজনেরা একে একে সবাই হাসপাতাল ছাড়তে থাকেন। যাওয়ার আগে ওমর সানি বলে গেলেন, বাংলাদেশে নায়ক রাজ্জাক একজনই হয়। তাঁর সম্পর্কে বলার কোনো যোগ্যতা আমাদের নেই। তাঁকে নিয়ে আমরা আর কি বলতে পারি। তবু আসতে থাকেন মানুষ। নায়করাজ যে ঘুমিয়ে আছেন লাশঘরে! আর/১৭:১৪/২2 আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vTuzPb
August 22, 2017 at 06:19AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন