নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুর উপজেলার পল্লী এলাকায় ঋৃণের বোঝা সইতে না পেরে অবশেষে আত্নহত্যার পথ বেছে নিল এক যুবক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকা বাসীর সাথে আলাপকালে জানাযায়, উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্রিখেল পশ্চিম গ্রামের মুবেশ্বর আলীর ছেলে মঞ্জুর আহমদ (৪০), ব্যবসা করতে গিয়ে পুজি হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন, পূনরায় ব্যবসা পরিচালনা করতে তার একমাত্র বসতভিটা বিক্রি করে ঘুরে দাড়াবার চেষ্টা চালিয়ে যান, তাতেও সফল হতে পারেরি মঞ্জুর।
নিজের সবকিছু হারিয়ে দ্বারস্ত হন দাদন ব্যবসায়িদের নিকট, মাসিক সুদে ঋৃণ নেন ওদের কাছ থেকে, প্রতি মাসে দাদন ব্যবসায়িদের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে দাদন ব্যবসায়িদের সাথে দেখা দেয় বিরোধ, গত শনিবার দরবস্ত এলাকার দাদন ব্যবসায়িদের কাছে এসে মঞ্জুর তার সর্বশান্ত হওয়ার কথা বলে।
তবে তাতে সুদের টাকা ছাড় দেয়নি দাদন ব্যাবসায়ী। অবশেষে দরবস্ত থেকে চতুল বাজার হয়ে রাত ১২ ঘটিকার সময় নিজ বাড়িতে ফিরে যায়, পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে নিজ বাড়ীর পাশে রাজ বাড়ীর টিলায় গাছের সাথে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
এ ব্যাপারে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল জানান, গতকাল রবিবার সকাল ৯.৩০ মিঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনার সংবাদ পান তিনি। সাথে সাথে ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান, তিনি আরো বলেন মঞ্জুর ঋৃণগ্রস্থ হয়ে তার বসত বাড়ীটি বিক্রি করে দেয় অনেক আগেই, সম্প্রতি জানতে পেরেছেন সে দাদন ব্যবসায়িদের কাছ থেকে ঋৃণ নিয়েছে। ওদের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এমনটি ধারণা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মড়েল থানার অফিসার ইনর্চাজ খান মোঃ মায়নুল জাকির বলেন, সংবাদ পেয়ে দুপুর ১টায় এস আই নবী হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিতে ঝুলতে থাকা মঞ্জুরের নিথর দেহটি নিচে নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2fme4Fq
August 07, 2017 at 08:43PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন