সুুরমা টাইমস ডেস্ক :
বর পক্ষের দাবি, বর নাবালক। কিন্তু কনে পক্ষের দাবি, বর সাবালক। বরের বয়স নিয়ে দু’পক্ষের রশি টানাটানি শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বর ও কনে উভয় পক্ষই নিজ নিজ দাবির পক্ষে আদালতে দাখিল করেছেন বরের জন্ম সনদ। বর একজন, কিন্তু জন্ম সনদ দুটি! সমস্যা সমাধানে আদালত ডেকে বসেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ রেজিস্টারকে। পুরাতন নথি ঘেঁটে শেষ পর্যন্ত বর পক্ষের দাবির সঙ্গে মিলে যায় বরের বয়স। এরপর ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করার দায়ে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পঞ্চগড়ের শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার ডোলোপাড়া গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের কন্যা নুর বানু আক্তার। একই উপজেলার বকশীপাড়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র মো. মাহমুদুল ইসলাম ওরফে আল আমিন। ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল তিন লক্ষ টাকা মোহরানায় নুর বানুর সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়। কনে পক্ষের অভিযোগ, বিয়ের পর চার মাস যেতে না যেতেই নুর বানুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন কনে পক্ষ। মামলায় বরসহ শ্বশুরবাড়ির আরও চার জনকে আসামি করা হয়। মামলা করার সময় আল আমিনের একটি জন্ম সনদ আদালতে দাখিল করেন কনে পক্ষ। এর জবাবে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই আল আমিনের আরেকটি জন্ম সনদ আদালতে দাখিল করেন বর পক্ষ। সেখানে বর আল আমিনকে নাবালক দাবি করা হয়। কিন্তু কনে পক্ষের জমা দেওয়া সনদে দেখা যায়, বর সাবালক।
উভয় পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে পঞ্চগড় এর শিশু আদালতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ রেজিস্টার তলব করা হয়। উক্ত ইউনিয়নের সচিব মো. সামছুল হক গত বুধবার জন্ম সনদ রেজিস্টারসহ আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত সবার সাক্ষ্য ও নথি যাচাই করে বর পক্ষের দাবির সত্যতা খুঁজে পান। কনে পক্ষের জমা দেওয়া বরের জন্ম সনদের কোন অস্তিত্ব রেজিস্টারে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর, জাল কাগজ দাখিল করার কারণে যৌতুক মামলার বাদী ও কনে পক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম বরাবর এ সংক্রান্ত আদেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hSjpVO
August 11, 2017 at 10:12PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন