আমার বাসায় তার আসার কথা ছিল: ববিতা

ঢাকা, ২২ আগস্ট- নায়করাজের সঙ্গে কত চরিত্রেই না অভিনয় করেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। কখনো মেয়ে, কখনো প্রেমিকা, কখনো বোন। অনন্ত প্রেম ও লাইলী মজনুতে তাদের রসায়ন কি সেদিনের দর্শক আজও ভুলতে পারবেন? কিংবা তারা নিজেরা? একজন, নায়করাজ তো চলে গেলেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। অন্যজন এখন সেসব স্মৃতি হাতড়াবেন। নায়করাজের সঙ্গে যে তার সম্পর্ক ছিল অটুট বন্ধন। মঙ্গলবার এফডিসিতে নায়করাজকে শেষ দেখা দেখতে এসে স্মৃতি ভারাক্রান্ত হলেন ববিতা। এ সময় তার দুই বোন নায়িকা সুচন্দা, চম্পা ছাড়াও পাশে ছিলেন শাবনূর। নায়করাজের সঙ্গে নিজের প্রথম ছবিতে রাজ্জাকের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ববিতা। এরপর আর একটি ছরিতে তার ভূমিকা নায়করাজের প্রেমিকার। সেই স্মৃতিচারণা করে ববিতা বলেন, যাকে আমি কদিন আগে বাবা ডেকেছি, তিনি কীভাবে প্রেমিক হবেন এটা নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। ববিতা বলেন, ছবিটি করতে গিয়ে খুব অস্বস্তি হলো। লজ্জায় অভিনয় করতে পারছিলাম না। তাই দেখে জহির ভাই (ছবির পরিচালক জহির রায়হান) বললেন আরে, এ তো অভিনয়, লজ্জা কেন? এরপর স্বাভাবিক হলাম। ছবিটি ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রের স্মরণীয় জুটি রাজ্জাক-ববিতা একসঙ্গে ৪০টির বেশি চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে কান্নাজড়ানো কণ্ঠে ববিতা বলেন, আমি যখন প্রথম শুনেছি তখন বিশ্বাস হয়নি। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না রাজ্জাক ভাই আর নেই। ববিতা বলেন, রাজ্জাক ভাই তার নিজের প্রোডাকশনের ছবিতে আমাকে নিতেন। তিনি ছিলেন ফিলোসোফার, গাইড দেওয়ার মতো লোক। তার মতো এমন কেউ আর আসবে না। আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। কিছুদিন আগেও নায়করাজের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল জানিয়ে ববিতা বলেন, কিছুদিন পর আমার বাসায় তার আসার কথা ছিল। আমি তাকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। লাইলি-মজনু চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল রাজ্জাক-ববিতা জুটি। অনন্ত প্রেম সিনেমায় অভিনয় করে দুজনই উঠে এসেছিলেন আলোচনার পাদপ্রদীপে। ক্যামেরার সামনে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেটি অটুট থাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। রাজ্জাক ও ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো অগ্নিশিখা, কি যে করি, অনন্ত প্রেম, সবাই তো ভালোবাসা চায় ইত্যাদি।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wADKF0
August 23, 2017 at 02:08AM