কলকাতা, ২৩ আগস্ট- মুকুল রায় ও বিজেপির জোড়া চাপকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তারই মোকাবিলায় নতুন পথ মমতার। তৃণমূল ভাঙিয়েই যে এ রাজ্যে বিজেপি সিদ্ধিলাভ চাইছে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। ঘাসফুলের ভোট ব্যাঙ্কে চিড় ধরানো যায়নি এখনও তাই তৃণমূল ভাঙিয়ে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করার জন্য বিজেপির জাতীয় নেতারা মুকুল রায়ের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বসে নেই তৃণমূল শিবিরও। এক দিকে যখন মুকুলকে সরাসরি সামলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং, অন্য দিকে, দল গোছাতে একটি গোপন সার্কুলার জারি করেছে দল। দলের অভিমানী, বসে যাওয়া কর্মী সমর্থকদের দলে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান নেতৃত্বকেই দায়িত্ব দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। তাঁদেরই সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই গোপন সার্কুলারে আবেগঘন ভাষায় লেখা হয়েছ, ১৯৯৮ সাল থেকে বা তার আগে থেকে যারা আমাদের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে দল করতো, অথচ অভিমানে আজ নিজেকে সরিয়ে রেখেছে, এরকম পুরানো দিনের কর্মী বা নেতাদের আবার আমরা একত্রিত করে, সবাইকে নিয়ে যৌথ ভাবে চলতে চাই। শুধু একত্রিত করাই নয়, সেই সব নেতা-কর্মীদের সব দুঃখ-কষ্টের অবসান করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এই সার্কুলারে। সেখানে বলা হয়েছে, দুঃখ বা কষ্ট যারা পেয়েছে তাদের কষ্ট আমরা লাঘব করতে চাই, এটা আমাদের অঙ্গীকার। দলের অভ্যন্তরীণ সার্কুলার নিয়ে বিশেষ কথা বলতে না চাইলেও, উত্তর ২৪ পরগণায় দলের পর্যবেক্ষক ও বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, দলের মধ্যে অনেক ক্যাটেগরির মানুষ বেড়েছে। সবার আস্থাই অর্জন করতে হবে। তাঁরা সবাই থাকবেন এক সঙ্গে। বিজেপির চাপ যে তৃণমূলের উপরে বাড়ছে, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই তৃণমূল নেতার কথায়। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটি একটি বিশেষ সময়ে বিশেষ অভিযান। নির্মল ঘোষের কথায়, আগামী দিনে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে লড়াই সহজ হবে পুরনো ভাই বোনেদের যদি আমরা সঙ্গে নিতে পারি। বিজেপির ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। এটা হলে জেতার জন্য আরও ভাল ভাবে প্রস্তুত থাকব আমরা। এর আগে কোর কমিটির বৈঠক থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো কর্মীদের দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন। প্রতিটি জেলাতেই এই সার্কুলার বিলি হয়েছে। তবে গোল বাঁধার সম্ভাবনা অন্য জায়গায়। যে নব্য তৃণমূলীরা পুরনোদের সরিয়ে দলের রাশ হাতে নিয়েছেন, তাঁরা কি চাইবেন পুরনোদের ফিরিয়ে আনতে? কারণ, সার্কুলারে বলা হয়েছে, অভিমানী নেতাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর শীর্ষ নেতাদের কাছে জমা দেওয়ার কথা। সেই ফর্মুলা শেষ পর্যন্ত কাজে দেবে কিনা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এমএ/ ০৪:৬৫/ ২৩ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2v59en2
August 23, 2017 at 10:57PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন