হায়দরাবাদ, ০৬ আগস্ট- ডান্স ফ্লোর ছেড়ে একেবারে বাইশ গজে৷ পরিচিত নাচের স্টেপ ছেড়ে ফ্রন্টফুট-ব্যাকফুটের রেওয়াজ৷ শুনে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, কাজে ততটাই কঠিন৷ তবে নাছোর ইচ্ছাশক্তি হাতিয়ার হলে, সবকিছুকেই পিছনে ফেলে ক্রিকেট ব্যাট হাতে স্বপ্নের পিছনে সিঙ্গলস নেওয়া যায়৷ এক একটা সিঙ্গলস স্টেপই একদিন পৌঁছে দেয় স্বপ্নের দোড়গোড়ায়৷ রূপকথা মনে হলেও এটাই বাস্তব৷ ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পরিশ্রম আর কঠোর সাধনায় যেকোনও জিনিই সিদ্ধিলাভ সম্ভব৷ ক্রিকেট কেরিয়ারে সেটাই করে দেখিয়েছেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ৷ বিশ্বকাপ অভিযান সেড়ে দেশে ফিরে সেই সাধনার গল্পই শোনালেন মিতালি৷ কীভাবে পাল্টে গেল তাঁর জীবন? ক্রিকেটার হওয়ায় কোনও ইচ্ছাই তো ছিল না! আজ তিনিই ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের মালকিন৷ এই গ্রহের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০০ রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন৷ তিনিই এখন মেয়েদের ক্রিকেটের সচিন তেন্ডুলকর৷ সেদিনের ভারতনাট্যম শিল্পী আজ বড়ই নস্টালজিক৷ সেদিনের ছোট মিথু আজ ৩৪-এর মিতালি৷ স্মৃতির পাতায় ফিরে গিয়ে বলছেন, একসময় ক্ল্যাসিকাল ডান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম৷ এরপর হঠাৎই ভাই মিঠুনের ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে যাওয়া শুরু৷ সেখানেই বাইশ গজে ব্যাটসম্যানদের দেখে ক্রিকেটকেই ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত করি৷ এরপর হায়দরাবাদের সেন্ট জোনস ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বড় হয়ে ওঠা৷ রূপকথার কাহিনীটা অনেকটা এরকম৷ মিতালি জানিয়েছেন,ডান্স ফ্লোর ছেড়ে ক্রিকেটের ঘাসের মাঠ বেছে নেওয়াটা কঠিন ছিল৷ সেসময় এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতেই হতো৷ তবে ভারতনাট্যম ছেড়েছি বলে আজ আমার কোনও অনুশোচনা নেই৷ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে৷ খাতায় কলমে কাহিনীটা জলের মতো সরল মনে হলেও আদতে কাঁটায় মোড়া৷ সেই সব বাঁধা পেড়িয়েই চারাগাছ থেকে মহীরুহে বেড়ে উঠেছেন মিতালি৷ সকালে উঠে ১২ কিলোমিটার জার্নি করে ক্রিকেট কোচিংয়ের যেতেন ছোট্ট মিথু৷ দাঁতে দাঁত চেপে স্বপ্নকে সত্যি করতে হাজারও সুখকে বিসর্জন দিতে শিখেছেন ছোটবেলা থেকেই৷ ভারতের মতো দেশে দশকের পর দশক ছেলেদের ক্রিকেট প্রচারের আলো পেলেও মেয়েদের ক্রিকেট লাইমলাইট থেকে অনেক দূরে থেকেছে৷ সেই দেশেই ফুল ফুটিয়েছেন মিতালি৷ আজ শুধু ভারত বলতে সচিন তেন্ডুলকর,বিরাট কোহলি, অশ্বিনদেরই নয় মিতালি-ঝুলন,মানধানাদেরও চেনে৷ এমএ/ ০৭:২৭/ ০৬ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2udMJb7
August 07, 2017 at 01:27AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন