নিজস্ব প্রতিনিধি::ক্বীনব্রিজ আর আলী আমজাদের ঘড়ি- সিলেটে চেনানোর জন্য এরচেয়ে ভালো আর কী আছে! এই দুই ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখলেই চেনা যায়- এ যে আমাদের প্রানের সিলেট।
নগরীর চাঁদনীঘাটের প্রাচীন এই দুই স্থাপনা ফের নির্মিত হচ্ছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। কেবল এই দুই স্থাপনাই নয়, পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান, সবই দেখা মিলবে এখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ যেনো সিলেটের ভেতরে আরেক সিলেট,এক জায়গায় দাঁড়িয়েই চট করে দেখে নেওয়া যাবে সিলেটের সব ঐতিহ্য।
সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের অংশ হিসেবে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের খালি জায়গায় ‘গৌরব সিলেট’ নামে সিলেটের সব গৌরবোজ্জ্বোল স্থান ও স্থাপনার সমাহার ঘটানো হচ্ছে এখানে। আগামী মাসেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছেন চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমন ও আলী দেলোয়ার।
এখানে সিলেটের দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা গুলোর পাশাপাশি ১৯৪০ সালে সিলেটের প্রথম জেলা প্রশাসকের ব্যবহৃত গাড়িটিও দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমন বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদিন অনেক সেবা প্রার্থী আসেন। সিলেটের বাইরে থেকেও অনেক অতিথি আসেন। তাদের সকলে হয়তো সিলেটের সবগুলো দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন না। তারা এখানে এসেই একনজরে সিলেটের সবগুলো সুন্দর স্থান ও স্থাপনা দেখে ফেলতে পারবেন।
আলী আমজদের ঘড়ি আর ক্বীনব্রিজের রেপ্লিকা ছাড়াও এখানে বিছনাকান্দি, জাফলং ও চা বাগানের আদলে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে সিলেটর বিভিন্ন সৌন্দর্যের চিত্র দেখে পর্যটকরা ওইসব এলাকায় যেতে আরও উদ্ধুব্ধ হবেন। সিলেটের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।
এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিলেটকে ‘প্রকৃতি কন্যা’ আখ্যা দিয়ে সিলেটের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার কাজ করছে। সে লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ারের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরিকল্পনায় ‘গৌরব সিলেট’ নামক প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। সিলেটের সকল সুন্দরকে একস্থানে জড়ো করাই, একজায়গায় ছোট্ট করে প্রদর্শন করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2vfRG80
August 26, 2017 at 08:09PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন