মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংকর চন্দ্র ধর’কে প্রধান অভিযুক্ত করে বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পীর মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেইন’র বাড়ির কেয়ারটেইকার, স্থানীয় মদনপুর গ্রামের মৃত আবারক আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে ২৬জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে বুধবার (২৩আগষ্ট) রাতে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২০। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও রায়পুর গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র শফিক মিয়া (৩৮), নোয়ারাই গ্রামের রাকেশ দাসের পুত্র রনজিত দাস (৩০), মদনপুর গ্রামের বনুয়ারী দেব’র পুত্র বিপ্লব (২২), মৃত সুশে দাস’র পুত্র পরিমল দাস (৪৫), রন দেব’র পুত্র নান্টু দেব (৪২), জন্টু দেব (৩৮), একই গ্রামের রানা গোস্বামী (৪৫), নরেশ বৈদ্য’র পুত্র রিপন বৈদ্য (২২), শন্টু গোশাই’র পুত্র শাওন চক্রবর্তী (২৩), মৃত কমল মালাকার’র পুত্র দিপুল মালাকার (৩৫), মৃত উপি ধর’র পুত্র সুধীর ধর (৩৮), মৃত টকটক দেব’র পুত্র বাদল দেব (৫৫), বাদল দেব’র পুত্র রাক্কু দেব (২৫), রাজু দেব (৩০), মৃত সুনিল মালাকার’র পুত্র নান্টু মালাকার (৩২), মৃত রাজেন্দ্র চন্দ্র’র পুত্র শ্যামল চন্দ্র চন্দ (৩০), জিতেন্দ্র চন্দ’র পুত্র স্বপন চন্দ্র চন্দ (২২), লবনী দেব’র পুত্র লিটন পাল (২৮), বনুয়ারী দেব’র পুত্র বিকাশ দেব, আখল দেব’র পুত্র রিপন দেব (২৫), চুনি চন্দ্র চন্দ’র পুত্র সমুন চন্দ্র চন্দ (২০), সুজু দেব’র পুত্র স্বপন দেব (৩০), রিপন দেব (২০), নরেশ বৈদ্য’র পুত্র কৃঞ্চ বৈদ্য (৩০) ও মৃত কুমেদ দেব’র পুত্র রিপু দেব (৪৫)।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ১৯৯৪ সালে মদনপুর গ্রামে ৪.৪৯০০ একর জমি কাবালা দলিল মূলে ক্রয় করেন পীর লিয়াকত হোসেইন। তিনি উক্ত ভূমি খরিদা সূত্রে মালিক ও খাস দখলদার হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় বাড়ি ঘর তৈরী করেন এবং বাড়িতে তিনি প্রায় সময় এসে একটি ঘরে বসবাস করেন ও অপর ঘরে তার কেয়ারটেকার (বাদি) বসবাস করেন। বাকী ভূমি বর্গাচাষী হিসেবে আব্দুর রশিদ (বাদি) বিগত প্রায় ২৩ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পীর লিয়াকত হোসেইন’র সাথে প্রধান অভিযুক্ত সংকর চন্দ্র ধর প্রতিদ্বন্দিতা করে পরাজিত হলে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন এবং তিনি পীর লিয়াকত হোসেইনকে নানা ভাবে হয়রানী করার জন্য সুযোগ খুজতে থাকেন। মদনপুর গ্রামে হিন্দু ও মুসলমানগণ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছেন। কিন্ত সংকর চন্দ্র ধর বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে পীর লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে ভূল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা ভাবে হিন্দ সম্প্রদায়ের লোকদের উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটনার সুযোগ সৃষ্টি করেন। গত ২১ আগষ্ট সকালে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মদনপুরস্থ চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রবেশ করে তার (চেয়ারম্যান) বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় অভিযুক্তদের অত্যাচার ও খুনের হুমকি ধামকিতে বাদি ও তার পরিবারের লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন বলে মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2xBOSyA
August 26, 2017 at 08:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন