সুরমা টাইমস ডেস্ক:বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফানের হাতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে চিকিৎসকরা। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই মেয়ে নাবালিকা বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গত সোমবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মামলাটির তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ইতোমধ্যেই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি দেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, ‘চিকিৎসকদের দেয়া প্রতিবেদনে মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি তুফান সরকার কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর দিনভর তাকে আটকে রেখে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা জানতে পারে এবং পরে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তা তুফান সরকারের স্ত্রীর কানে যায়।
এরপর শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন তার বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমি বেগম ওই ধর্ষিতা ও তার মাকে বিচারের নামে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাদের দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তারা।
এরপর ২০ মিনিটের মধ্যে বগুড়া শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে রিকশায় তুলে দেয়া হয় মা-মেয়েকে।
আহত মা-মেয়ে চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। ওইদিন রাতেই তুফানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।এরপর বিচারের নামে নির্যাতনের অভিযোগে পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমসহ মামলার মোট নয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2vzCdiy
August 04, 2017 at 08:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন