গত ম্যাচে পিএসজির ৬ গোলের প্রতিটায় জড়িয়ে ছিল তাঁর নাম। দুটি করেছেন, চারটি করিয়েছেন। প্রত্যাশার পারদটা নেইমার নিয়ে গেছেন আকাশ ফুঁড়ে। সেই তুলনায় কাল অতটা আলো ছড়াতে পারেননি। তবে পিএসজির তিনটি গোলের আক্রমণে ভূমিকা তাঁর থাকল। নেইমার গোল না পেলেও এডিসন কাভানির জোড়া গোলে সেঁত এতিয়েনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফরাসি লিগের শীর্ষস্থান অটুট রাখল পিএসজি। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে আগের দুই ম্যাচে তিন গোল করা নেইমার এবারই প্রথম গোল পেলেন না। তবে ২০ মিনিটে প্রথমে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দেন কাভানি। নেইমার বল হাওয়ায় ভাসিয়ে বেশ পেছন থেকে বক্সে পাঠিয়েছিলেন ওত পেতে থাকা কাভানির কাছে। এতিয়েন ডিফেন্ডার কাভানিকে ফাউল করে বসলে পেনাল্টি পেয়ে যায় পিএসজি। প্রথমার্ধে দুই দলের গোলমুখে আর তেমন কোনো সাজানো আক্রমণ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। এবারের নেইমারের ফ্রি কিকের উৎস থেকে গোল করেন থিয়াগো মোত্তা। অবশ্য মারকুইনহস ফ্রি কিকটা বুকে ঠেলে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মোত্তার দিকে। অ্যাসিস্টটা যাবে তাঁর খাতাতেই। কিন্তু নেইমারের ফ্রি কিকটাও ছিল দুর্দান্ত। ২০১৬ সালের পর প্রথম গোলের দেখা পেলেন মোত্তা। নেইমার এসে গেছেন, এখন আগে কেউ দেখেনিএমন অনেক কিছুই তো হবে! গোলের জন্য মরিয়া এতিয়েন পিএসজির গোলমুখে বেশ কটি দারুণ আক্রমণ করে এর মধ্যে। পিএসজি গোলরক্ষক অন্তত দুটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। ৮৯ মিনিটে কাভানির ট্যাপ ইন ৩-০ করে দেয়। এবারও ভূমিকা আছে নেইমারের। তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া বল ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেন থমাস মুনিয়ের। এতিয়েনও প্রথম তিন ম্যাচে জয় পেয়েছিল। সেটিও এক গোলও না খেয়ে। ফলে পিএসজির জন্য এই ম্যাচ ছিল বড় পরীক্ষার। সেই ম্যাচে তারা খেয়ে বসল তিন গোল। মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গা করে নেওয়া অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার মাঝারি পাল্লার বাঁকানো ফ্রি কিক ডান পোস্টে না লাগলে এক হালি গোলই হয়ে যেত। ডি মারিয়া নিজেও দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। চার ম্যাচে ১২ গোল করে সমান পয়েন্ট এখন পিএসজির। কাভানি করেছেন ৫ গোল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোনাকো অবশ্য স্বস্তি দিচ্ছে না। মার্সেইয়ের বিপক্ষে জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ১২। এমএ/ ১১:৪০/ ২৬ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vfmd5B
August 26, 2017 at 05:39PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন