ঢাকা, ২১ আগষ্ট- দল নির্বাচনে এবং আরো কিছু বিষয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অতিরিক্ত মাতবরি ও বাড়াবাড়িতে ভিতরে ভিতরে বিরক্ত দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা। দুদিন আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এক বৈঠকে কোচের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিষয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন চার সিনিয়র খেলোয়াড়। জানা গেছে, এই চার ক্রিকেটারের মতামত মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং মুমিনুলকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্তটা ওই বৈঠকের পরেই নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। সবার মত উপেক্ষা করে মুমিনুলের মতো জাত টেস্ট ব্যাটসম্যানকে দলের বাইরে রাখার পর মিডিয়া, সাবেক ক্রিকেটার এবং সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীর তোপের মুখে পড়েন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মুনিুলকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে কোচের কাছ থেকেই এসেছে, সেটা দল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের অনেকটাই পরিষ্কার করে দেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মুমিনুলকে বাইরে রেখে ঘোষিত দলটিকে অবশ্য অনুমোদন দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে এতটা অসন্তোষ দেখা দিবে সেটা অনুমান করতে পারেননি পাপন। জানা গেছে, বোর্ডের কয়েকজন পরিচালকও মুমিনুলকে বাদ দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে। কিন্তু কোচ হাথুরুর উপর বড্ড বেশি আস্থার কারণে ১৪ সদস্যের দলটিতে অনুমোদন দেন পাপন। কিন্তু চারিদিকে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওযায় বিষয়টা নিয়ে নতুন করে ভাবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে নিজের বাসায় অন্য একটি বিষয় নিয়ে সিনিয়র চার ক্রিকেটারের (মাশরাফি, তামিম, মুশফিক ও তামিম) সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন নাজমুল হাসান পাপন। তখন মুমিনুলের বাদ পড়া নিয়ে চার ক্রিকেটারের কাছে মতামত শুনতে চান পাপন। সেখানে তারা মুমিনুলের বাদ পড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কোচ হাথুরুসিংহের অতিরিক্ত মাতবরি এবং একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েও নিজেদের অখুশির কথা জানান তারা। মুশফিক নাকি পাপনকে জানান, তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের (অধিনায়ক) অংশ হলেও মুমিনুলকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে তার মতামতের তোয়াক্কা করা হয়নি। শুধু ওই চার ক্রিকেটারই নন, কোচ হাথুরুসিংহের এমন অপরিপক্ক সিদ্ধান্তে বিসিবির দুই প্রভাবশালী পরিচালক আকরাম খান এবং খালেদ মাহমুদ সুজনও অসন্তুষ্ট। ব্যাপারটা নিয়ে তারা কথা বলেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। জানা গেছে, ভবিষ্যতে দল নির্বাচন নিয়ে কোচ যাতে নিরঙ্কুশ প্রভাব খাটাতে না পারেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। সবার মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য দল গঠনে অগ্রাধিকার দিবেন তিনি। গত কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কা সফরকালে মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে বলেছিলেন হাথুরুসিংহে। রাগে অপমানে এই ফরম্যাট থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাশ। তার আগে ওই সফরের মাঝপথেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কিন্তু তখন ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়নি। মাশরাফি দেশে। তিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রিয়াদকে ফেরত পাঠালে তিনি শ্রীলঙ্কা যাবেন না। মাশরাফির জেদের কারণে, রিয়াদকে দেশে পাঠাতে পারেননি হাথুরুসিংহে। আর/১৭:১৪/২১ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wpZV1t
August 22, 2017 at 12:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন