দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে অবশেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপি’র মুলধারায় ফিরলেন একসময়ে যুবদল ও বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া (জাকা)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপি’র নেতৃত্বের ‘ঘাটতি’র মুখে কেন্দ্র থেকে গঠিত জেলা কমিটি গঠনকে ঘিরে সৃষ্ট আভ্যন্তরিণ নতুন ‘উত্তাপের’ মাঝেই ফিরে এলেন জাকা। সোমবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাব (টাউন ক্লাব) মিলনায়তনে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে বিএনপি’র মূলধারায় একিভুত হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ক’দিন আগেও হারুন-পাপিয়া বিরোধী গ্রুপে ‘রসদ’ হিসেবে কাজ জাকার ‘হারুন গ্রুপে’ চলে আসায় বিরোধী শিবিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে জনসর্মথনের দিক থেকে ‘শক্তভিত্তি’তে থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপি’র সাংগঠনিক কমিটি হয়েছে খুবই কম। ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যাড. সুলতানুল ইসলাম মনিকে সভাপতি এবং গোলাম জাকারিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রথম পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছিল। ৯৭ সাল পর্যন্ত মনি-জাকা’র দায়িত্বপালনের পর ১৯৯৮ সালে প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর হোসেনকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন কর হয়। এরই মাঝে স্বামী-স্ত্রী সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ হারুন ও এ্যাড. সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলে মঞ্জুর-মনি-শাহজাহান এককাতারে চলে আসেন। আহবায়ক কমিটির ৭ বছর পর ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হলেও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। মাত্র ৫ সদস্যের কমিটিতে কেটে যায় প্রায় ৫টি বছর। ওই কমিটির শাহজাহান-হারুন দ্বন্দ্বের মাঝেই আবারও কমিটি গঠন করা হয়। এতে অধ্যাপক শাহজাহান মিয়াকে সভাপতি ও এ্যাড. সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সময়ের পরিক্রমায় সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ একবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্ম মহাসচিব, শাহজাহান মিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও আসিফা আসরাফী পাপিয়া কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বের ‘ঘাটতির’ মুখে ৩ সংসদীয় এলাকা থেকে একজন করে নিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়। হারুন-পাপিয়া গ্রুপের প্রস্তাবিত নেতা রফিকুল ইসলাম টিপু হন নতুন সভাপতি। নাচোল গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট আসনের সাবেক দলীয় প্রার্থী আমিনুল ইসলাম হন সাধারণ সম্পাদক। শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম কবির হেলিম হন এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। নতুন এই কমিটি থেকে হারুন পাপিয়া গ্রুপের ৬৮ জন নেতা পদত্যাগ করলেও বেঁকে বসেন নতুন সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু। তিনি পদত্যাগ না করেই হাত মেলান হারুন পাপিয়া বিরোধী গ্রুপে। সক্রিয় হন দীর্ঘ দলে ‘নির্জীব’ হয়ে থাকা গোলাম জাকারিয়া, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। নতুন সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু কেন্দ্রীয় কর্মসুচি দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন গোলাম জাকারিয়াকে দিয়ে। ওই সময় অনেকটাই চাঙ্গাভাব দেখা দেয় হারুন-পাপিয়া বিরোধী গ্রুপে। এমনকি জাকা ও রফিককে সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু হারুন-পাপিয়া ধারা থেকে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র কমিটিও ভেঙ্গে দেন। আর এই কমিটি ভাঙ্গার পরপরই হস্তক্ষেপ করে বসে কেন্দ্র কমিটি। পুর্বের কমিটি বহাল রেখে জেলা বিএনপি’র সভাপতিকে সতর্কবাতা পাঠানো হয়।
বিএনপি’র জেলা কমিটি গঠনকে ঘিরে এই ‘উত্তাপের’ মাঝে হটাৎকরে সোমবার ফুলের তোড়া বিনিময় হয় গোলাম জাকারিয়া ও হারুনুর রশিদের মধ্যে। এদিকে, জাকার ফিরে আসাকে একগ্রুপের দলীয় নেতাকর্মীরা দেখছেন ‘ নতুন সুবাতাস’ হিসেবে। অন্যগ্রুপ বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ‘জনসম্পৃক্ততা’ না থাকায় জাকার তেমন ‘জনভিত্তিই’ নেই। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ম্যাসেজ আপলোড হবার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম মতি’র ফেসবুক আইডিতে আপলোড হওয়া বার্তায় বলা হয়েছে-
সকল ভেদাভেদ ভুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া (জাকা) ২১-০৮-১৭ ইং বিকাল ৫টায় জেলার টাউন ক্লাবে যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে পুনরায় বিএনপিতে যোগদান করেন। এসময় উপস্তিত ছিলেন সদর থানা বিএনপি সভাপতি তসিকুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি, পৌর সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ ময়েজ উদ্দিন, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক, জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতা এ্যাডঃ রবিউল হক দোলন, জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সামিরুল ইসলাম পলাশ, জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, পৌর ছাত্রদল আহ্বায়ক বাবর আলী রুমন, থানা সেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ ফিরোজ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২১-০৮-১৭
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে জনসর্মথনের দিক থেকে ‘শক্তভিত্তি’তে থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপি’র সাংগঠনিক কমিটি হয়েছে খুবই কম। ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যাড. সুলতানুল ইসলাম মনিকে সভাপতি এবং গোলাম জাকারিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রথম পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছিল। ৯৭ সাল পর্যন্ত মনি-জাকা’র দায়িত্বপালনের পর ১৯৯৮ সালে প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর হোসেনকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন কর হয়। এরই মাঝে স্বামী-স্ত্রী সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ হারুন ও এ্যাড. সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলে মঞ্জুর-মনি-শাহজাহান এককাতারে চলে আসেন। আহবায়ক কমিটির ৭ বছর পর ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হলেও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। মাত্র ৫ সদস্যের কমিটিতে কেটে যায় প্রায় ৫টি বছর। ওই কমিটির শাহজাহান-হারুন দ্বন্দ্বের মাঝেই আবারও কমিটি গঠন করা হয়। এতে অধ্যাপক শাহজাহান মিয়াকে সভাপতি ও এ্যাড. সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সময়ের পরিক্রমায় সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ একবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্ম মহাসচিব, শাহজাহান মিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও আসিফা আসরাফী পাপিয়া কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বের ‘ঘাটতির’ মুখে ৩ সংসদীয় এলাকা থেকে একজন করে নিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়। হারুন-পাপিয়া গ্রুপের প্রস্তাবিত নেতা রফিকুল ইসলাম টিপু হন নতুন সভাপতি। নাচোল গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট আসনের সাবেক দলীয় প্রার্থী আমিনুল ইসলাম হন সাধারণ সম্পাদক। শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম কবির হেলিম হন এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। নতুন এই কমিটি থেকে হারুন পাপিয়া গ্রুপের ৬৮ জন নেতা পদত্যাগ করলেও বেঁকে বসেন নতুন সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু। তিনি পদত্যাগ না করেই হাত মেলান হারুন পাপিয়া বিরোধী গ্রুপে। সক্রিয় হন দীর্ঘ দলে ‘নির্জীব’ হয়ে থাকা গোলাম জাকারিয়া, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। নতুন সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু কেন্দ্রীয় কর্মসুচি দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন গোলাম জাকারিয়াকে দিয়ে। ওই সময় অনেকটাই চাঙ্গাভাব দেখা দেয় হারুন-পাপিয়া বিরোধী গ্রুপে। এমনকি জাকা ও রফিককে সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু হারুন-পাপিয়া ধারা থেকে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র কমিটিও ভেঙ্গে দেন। আর এই কমিটি ভাঙ্গার পরপরই হস্তক্ষেপ করে বসে কেন্দ্র কমিটি। পুর্বের কমিটি বহাল রেখে জেলা বিএনপি’র সভাপতিকে সতর্কবাতা পাঠানো হয়।
বিএনপি’র জেলা কমিটি গঠনকে ঘিরে এই ‘উত্তাপের’ মাঝে হটাৎকরে সোমবার ফুলের তোড়া বিনিময় হয় গোলাম জাকারিয়া ও হারুনুর রশিদের মধ্যে। এদিকে, জাকার ফিরে আসাকে একগ্রুপের দলীয় নেতাকর্মীরা দেখছেন ‘ নতুন সুবাতাস’ হিসেবে। অন্যগ্রুপ বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ‘জনসম্পৃক্ততা’ না থাকায় জাকার তেমন ‘জনভিত্তিই’ নেই। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ম্যাসেজ আপলোড হবার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম মতি’র ফেসবুক আইডিতে আপলোড হওয়া বার্তায় বলা হয়েছে-
সকল ভেদাভেদ ভুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া (জাকা) ২১-০৮-১৭ ইং বিকাল ৫টায় জেলার টাউন ক্লাবে যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে পুনরায় বিএনপিতে যোগদান করেন। এসময় উপস্তিত ছিলেন সদর থানা বিএনপি সভাপতি তসিকুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি, পৌর সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ ময়েজ উদ্দিন, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক, জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতা এ্যাডঃ রবিউল হক দোলন, জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সামিরুল ইসলাম পলাশ, জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, পৌর ছাত্রদল আহ্বায়ক বাবর আলী রুমন, থানা সেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ ফিরোজ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২১-০৮-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2xlBxtY
August 21, 2017 at 11:15PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন