ঢাকা, ২৬ আগস্ট- শুটিংবাড়ির নিচতলাটা সুনসান। সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতেই চোখে পড়ল একটি বাসরঘর সাজানো। বর-কনে তো দূরের কথা, সেখানে কেউই নেই। ছাদ থেকে আলো আসছে। আলোর পথ ধরে সামনে এগিয়ে দেখা মিলল পুরো শুটিং ইউনিটের। গত রোববার সন্ধ্যার খানিক পরে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের শুটিংবাড়িতে ঢুকতেই এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হলো। ছাদের এক পাশে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা ও দীপা খন্দকার। চটপটে পূর্ণিমা খুব গম্ভীর হয়ে কথাবার্তা বলছেন দীপা খন্দকারের সঙ্গে। কথাবার্তা শেষ হতেই মনিটরের পেছনে বসা পরিচালক সাখাওয়াত মানিক কাট বলে দৃশ্য শেষ করলেন। পাশে বসে ছিলেন নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালক ও নাট্যকার মিলেই জানালেন রূপালী নামে সাত পর্বের নাটকটির গল্প। নাটকটির নামভূমিকায় অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। মেয়েটি সবকিছুতেই ইতিবাচক চিন্তা করে। উচ্ছল এই মেয়েটির একসময় বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে থাকে। তার এই ইতিবাচক চিন্তাই একসময় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে সেখানে। শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটে, তা বলতে চাইলেন না পরিচালক। নাট্যকারও মাথা নাড়লেন। টিভিতে দেখুক না দর্শক। পরের দৃশ্যের শুটিং হবে একটি রুমে। রূপালী মানে পূর্ণিমা এসেছেন মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে। নিজের ভেতরে জমানো কষ্টের কথাগুলো বলে কেঁদে ফেললেন। দৃশ্য শেষ। নাটকটিতে পূর্ণিমার সঙ্গে অভিনয় করছেন এফ এস নাঈম। এক ফাঁকে কথা হলো তাঁর সঙ্গে; নাটকের গল্পটি অন্য রকম। কিন্তু সময়টা কম পাচ্ছেন। সাত পর্বের এই নাটকটির জন্য আরও দুই দিন সময় পেলে দারুণ হতো। ডাক আসে পরের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য। দ্রুত কাজ শেষ করার তাড়া সবার মধ্যেই। এবারের দৃশ্যে রাতের খাবার খাবেন নাঈম। তাঁকে খাবার উঠিয়ে দেবেন স্ত্রী পূর্ণিমা। দৃশ্য শুরু হওয়ার আগে দুজন খুনসুটিও করে নিলেন খানিকটা। তারপর দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে। এমএ/ ১১:২৫/ ২৬ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vf4gE8
August 26, 2017 at 05:26PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন