মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কোনারাই সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় আক্রান্ত। ১৯২৫ সালে বেসরকারী রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যলয় হিসেবে স্কুলটি প্রতিষ্টিত হলেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্কুলটিকে ১৯৭৩ সালে জাতীয় করণ করা হয়েছে। বর্তমানে স্কুলে প্রায় ১৫৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অভিলম্ভে বিদ্যালয় ভবনটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভূ-কম্পন-বজ্রপাত হলে শিক্ষার্থীরা থাকে আতঙ্কে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে ক্লাস করে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের কোনো সংস্কার হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫৫জন শিক্ষার্থী লেখা-পড়া করছেন। বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়ালের আস্তর ঝরে গিয়ে ইট বের হয়ে আসছেন। যে কোন সময় শিক্ষার্থীদের ওপরে ভেঙে পড়তে পারে। বজ্রপাত-ভূমিকম্পন হলেই শিক্ষার্থীরা থাকে আতঙ্কের মধ্যে। তবে বজ্রপাত ও ভূ-কম্পন হলেও ভয়ে শিক্ষার্থী ক্লাস রুম ত্যাগ করে বাহিরে চলে আসেন।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের ভিতর ও বাহিরে কয়েক স্থানে আস্তর উঠে গিয়ে ইট বের হয়ে আসছে। বজ্রপাত ও ভূ-কম্পন হলেই ভয়ে ক্লাস রুমের বাইরে এসে বারান্দায় অবস্থান করতে হয়। এতে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে এবং শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শ্রেনী কক্ষের দরজা-জানালার অবস্থাও করুণ। বৃষ্টি হলেই জানালা দিয়ে ক্লাস রুমে পানি প্রবেশ করে। বিদ্যালয়টির অবস্থান উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সীমানা দেয়াল না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রায় সময়ই দূঘটনার স্বীকার হয়। তাই বিদ্যালযটির অবকাঠামোগত সংস্কার ও সীমানা প্রাচীর অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সরকার, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভবন সংস্কার, সীমানা প্রাচীর নির্মান, রাস্তা নির্মাণ অতি জরুরী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্ঠি কামনা করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়টি করুণ দশায় পরিনত রয়েছে। বিদ্যালয় সংস্কার কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার প্রতি অনুরোধ জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিভিস করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2uqo6HA
August 04, 2017 at 07:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন