ষোড়শ সংশোধনী ক্ষণিকের মেঘ তা কেটে যাবে- ওবায়দুল কাদের

সুরমা টাইমস ডেস্ক; রাজধানীর পলাশী মোড়ে গতকাল বিকালে সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান জন্মাষ্টমীর র‌্যালী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে উদ্বেগ থাকতে পারে, কিন্তু শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এ ক্ষণিকের মেঘ কেটে যাবে। তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছি, আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে। প্রধান বিচারপতিকে আমাদের দলের অবস্থান জানিয়েছি। আমি আজ আবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতিকেও সেই পর্যবেক্ষণের বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে যে বক্তব্য জানিয়েছি, সেটা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি। এই নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এসময় কাদের বলেন, আকাশের মেঘ ক্ষণিকের, সুর্য চিরদিনের। ক্ষণিকের মেঘ কেটে যাবে, চির দিবসের সূর্য উঠিবে আবার। তিনি বলেন,সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে। ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা তাতে আস্থাশীল। ওবায়দুল কাদের বলেন,সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর চেয়ে তিস্তার পানি বন্টন খুব বেশি সমস্যা নয়। আলাপ আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তিস্তা নিয়ে আমাদের যে প্রাণের দাবি সমাধান ও চুক্তি সম্পাদন হবে। এই আশ্বাস আমি দিতে পারি। অচিরেই তিস্তা নদীর পানির বন্টনের চুক্তি সম্পাদন হবে। এসময় একজন বাঙালি হিসাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে’ দিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয়ের প্রতি ‘অনুরোধ’ জানান মন্ত্রী। হিন্দুদেরকে বলছি, আপনারা মাথা উঁচু করে চলবেন। অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নিজেদেরকে সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন মনে করবেন না। আপনারা এদেশের ফার্স্ট ক্লাস সিটিজেন। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের যে অধিকার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সবারই একই অধিকার। সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের মাইনরটি ভাবেন কেন? মাথা উচু করে চলবেন। কার কাছে মাথানত করবেন। আপনার সমান অধিকার। আওয়ামী লীগগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাবলে কিছু দুর্বৃত্ত আপনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। এ দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। তিনি বলেন, নিরবে চলে যাবেন না। কথা বলুন। কারা আপনাদের জমি-জমা, বাড়িঘর নিয়ে সংকীর্ণ চরিতার্থ করছে। এসব দুর্বৃত্তদের মোকাবেলায় এগিয়ে আসুন। ভয় করবেন না। ভয় করার কোন কারণ নেই। শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের নিরাপত্তায় আছেন এবং থাকবেন। শুধু মুসলমান নয়, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সবাই মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। সেদিন মুক্তিযুদ্ধের জন্য কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য রক্ত দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একাত্তরে ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের যে রাখি বন্ধন, সে রাখী বন্ধন আজো আমাদের চেতনায় ও মানসভূমিতে জেগে আছে। আমরা আমাদের সেই চেতনার বিশ্বাস থেকে সরে দাঁড়াই নাই। ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝখানে কিছু সময় প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন হয়েছে। সম্পর্কে একটা মহল অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল তুলেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসার পর, বিশেষ করে বর্তমান ডাইনামিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার পরে, সেই সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল আমরা ভেঙ্গে ফেলেছি। আর কোন অবিশ্বাস নয়। অবিশ্বাস ও সন্দেহের বাতাবরণে দুই প্রতিবেশির সহাবস্থান শান্তিপূর্ণ হয়নি। তাই আজকে সংশয়-সন্দেহের অবসান ঘটিয়েছি বলেই চুয়াত্তর সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন আমরা করতে পেরেছি। ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূর্জা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডি এল চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামন মিয়া প্রমুখ।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2w7ca1X

August 15, 2017 at 01:13AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top