চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা রিমান্ডের আসামী মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় নাচোল থানার ওসি আনোয়ার হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ অঞ্চলে মাহফুজের ভাই শাহিনুর আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হচ্ছেন, এসআই আবদুল বারিক, ওসি আনোয়ার হোসেন, এসআই আহসান হাবিব, এসআই মোঃ জহুরুল, এএসআই মোঃ সামসুল, কনষ্টেবল চাঁনজারুল, নাচোলের বাইপুর দরগা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও তার ভগ্নিপতি জাফর ইকবাল।
মামলার আরজিতে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার জননী কিনিকে গত ১৭ জুলাই রাতে এ্যাপেনডিক্স অপারেশন করা রোগি নাচোলের বাইপুর দরগা গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে নাহিদা আক্তার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে তার পিতা নাসির উদ্দীন বাদি হয়ে ২০ জুলাই নাচোল থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার আসামী মাহফুজকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দের পর রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডের আসামী মাহফুজকে ২৫ জুলাই নাচোল থানায় নিয়ে এসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাচোল থানার এসআই আবদুল বারিক মাহফুজের ভাই জুলহাস মৃধার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় ২০ হাজার টাকা দেয়ার পর আরো ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বাকি টাকা দিতে না পারায় আসামীরা ২৬ জুলাই মাহফুজকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতনের ফলে মাহফুজ মারা গেলে আসামীরা তার গলায় জিন্সের প্যান্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে বাথরুমের দরজার হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় ৬ পুলিশ সদস্য ছাড়াও আসামী করা হয়েছে নিহত নাহিদার পিতা নাসির উদ্দীন এবং নাসির উদ্দীনের ভগ্নিপতি জাফর ইকবালকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৬-০৮-১৭
আসামিরা হচ্ছেন, এসআই আবদুল বারিক, ওসি আনোয়ার হোসেন, এসআই আহসান হাবিব, এসআই মোঃ জহুরুল, এএসআই মোঃ সামসুল, কনষ্টেবল চাঁনজারুল, নাচোলের বাইপুর দরগা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও তার ভগ্নিপতি জাফর ইকবাল।
মামলার আরজিতে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার জননী কিনিকে গত ১৭ জুলাই রাতে এ্যাপেনডিক্স অপারেশন করা রোগি নাচোলের বাইপুর দরগা গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে নাহিদা আক্তার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে তার পিতা নাসির উদ্দীন বাদি হয়ে ২০ জুলাই নাচোল থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার আসামী মাহফুজকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দের পর রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডের আসামী মাহফুজকে ২৫ জুলাই নাচোল থানায় নিয়ে এসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাচোল থানার এসআই আবদুল বারিক মাহফুজের ভাই জুলহাস মৃধার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় ২০ হাজার টাকা দেয়ার পর আরো ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বাকি টাকা দিতে না পারায় আসামীরা ২৬ জুলাই মাহফুজকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতনের ফলে মাহফুজ মারা গেলে আসামীরা তার গলায় জিন্সের প্যান্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে বাথরুমের দরজার হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় ৬ পুলিশ সদস্য ছাড়াও আসামী করা হয়েছে নিহত নাহিদার পিতা নাসির উদ্দীন এবং নাসির উদ্দীনের ভগ্নিপতি জাফর ইকবালকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৬-০৮-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2wwXlCJ
August 06, 2017 at 09:35PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন