সিমরান ছবির মুক্তির আগে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে ঝড় তুলেছেন কঙ্গনা রনৌত। এবার তাঁর ক্ষোভ ঝরে পড়ল বলিউডের কিছু পরিচালকের স্বভাবের বিরুদ্ধে। নায়িকাদের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবি সিমরান-এর প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই বলিউড তারকা। পরিচালকেরা নায়িকাদের কী চোখে দেখেন? বলিউডের কুইন বলেন, বলিউডে মান্ধাতার আমল থেকে চলে আসছে, নায়িকা মানেই ছবি সম্পর্কে কোনো মতামত দিতে পারবেন না। অথচ নায়কেরা কোনো পরামর্শ দিলে তা খোলা মনে গ্রহণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাকি শিল্পীসত্তা আছে। আর নায়িকা মানেই বোকা। কোনো বুদ্ধি নেই। পরিচালকেরা নায়িকাদের সৌন্দর্য ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না। কঙ্গনা আরও বলেন, নায়িকা শুধু পরিচালকের হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলাবেন। তাঁরা চটুল কিছু বললে নায়িকাদের খিলখিলিয়ে হাসতে হবে। গানের সঙ্গে একটু কোমর নাচাবেন। নায়িকা মানেই পরিচালকের কোলে বসতে হবে। এসব প্রথা তো বলিউডে চলে আসছে। তবে শুধু বলিউডে কেন, ভারতের ঘরে ঘরে এই প্রথা চলে আসছে। শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের বলার কোনো অধিকার নেই। শ্বশুর, শাশুড়ি, বরের সামনে মেয়েদের বোকাসোকা হয়ে থাকতে হবে। তবে পুরুষদের এই দৃষ্টিভঙ্গী মেয়েদেরই বদলাতে হবে। আমরা মেয়েরা পুরুষদের সামনে বোকা হয়ে থাকতেই ভালোবাসি। বোকা হওয়ার নাটক করি মাত্র। সিমরান ছবির কাজের সময় তাঁকেও কি এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে কঙ্গনা বলেন, একদমই না। ছবিতে আমি আমার চরিত্র সম্পর্কে কিছু মতামত দিলে হংসল স্যার তা ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। আমরা আলোচনা করে কাজ করেছি। কঙ্গনার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের ব্যাপারে সিমরান ছবির পরিচালক হংসল মেহতা বলেন, কঙ্গনা ঠিকই বলেছেন। নায়কেরা ছবি-সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ দিলে কোনো সমস্যা নেই। বরং তাঁর শিল্পীমনের প্রশংসা করা হয়। আর নায়িকারা কিছু বললে তিনি নাকি অযথা নাক গলাচ্ছেন। কঙ্গনা ভীষণই শিল্পমনস্ক মানুষ। সিমরান ছবির ক্ষেত্রে ও সুন্দর সুন্দর আইডিয়া দিয়েছেন। আমার তো দারুণ লেগেছে। আমার কাছে নায়ক-নায়িকা দুজনই সমান। আমার শহিদ এবং সিটিলাইট ছবির ক্ষেত্রে রাজকুমার রাও নানা ইনপুট দিয়েছিলেন। রাজকুমারের চিন্তাভাবনাও খুব ভালো। শহিদ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালক বলেন, নতুন ছবিতে দর্শক কঙ্গনাকে আবার নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। তিনি নিজের এক শ ভাগ দিয়েছেন। আমার ভাবনার বাইরে গিয়ে কঙ্গনা কাজ করেছেন। আমার মনে হয় সিমরান হবে তাঁর অন্যতম সেরা কাজ। সিমরান ছবিতে কঙ্গনা অভিনীত চরিত্রের নাম প্রফুল প্যাটেল। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছর বয়সী এই তালাকপ্রাপ্ত নারী আবার নতুনভাবে বাঁচতে চান। নিজের ইচ্ছেমতো চলতে পছন্দ করেন। ঘটনাচক্রে নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন প্রফুল। হংসল মেহতা পরিচালিত সিমরান মুক্তি পেয়েছে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xFzKUS
September 16, 2017 at 03:50PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন