অপরাধ প্রবনতা কমাতে নগরীতে বসানো হচ্ছে আরও ৭০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট নগরীর অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আগেই ২২টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। এতে করে নগরীতে অপরাধ প্রবনতা অনেকটা কমে এসেছিল। এখন নগরীর আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৭০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকি খুব শীঘ্রই এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব।

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, নাইওরপুল, আম্বরখানা ও তালতলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ২২টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। সেগুলো স্থাপনের পর ওইসব এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানান ধরনের অপরাধ কমে এসেছে। এমনকি অপরাধীদের চিহ্নিত করতেও এসব সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন নগরীর দক্ষিণ সুরমা, আম্বরখানা বিমানবন্দর সড়ক ও সিলেট জজ আদালত এলাকায় মোট ৭০টি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিন সুরমায় ২২টি, আম্বরখানা বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় ২২টি এবং সিলেট জজ আদালত এলাকায় আরও ২৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে দক্ষিনসুরমায় ২২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের টেন্ডারও হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব।

তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর জন্য জানানো হয়েছে। নগরীর নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ক্যামেরা দ্রুত স্থাপন করা হবে। জজ কোর্ট এলাকায় আগামী দুই মাসের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়ে যাবে। দক্ষিণ সুরমায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের টেন্ডারও হয়ে গেছে।

এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগকে সমোয়পীযোগী উদ্যোগ বলে সাধুবাদ জানাচ্ছেন নগরীর সচেতন মহল। তারা দাবি তুলছেন এসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো যাতে সকল সময় রক্ষনাবেক্ষন করা হয়। এমনকি নগরীর স্কুল কলেজগুলোকেও যদি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয় তাহলে আরও অনেক দুর্ঘটনা কমে যাবে বলেও মন্তব্য করছেন তারা। বিশেষ করে বখাটেদের উৎপাত কমাতে মেয়েরা যেসকল স্কুল কলেজে পড়ে ওইসব স্কুল কলেজের গেইটেও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এই সিদ্ধান্তটি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়। যেভাবে মারামারি, দুর্ঘটনা ঘটছে এসব কাজের জন্য এই সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এগুলো সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করে রাখাটা আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ। যাতে করে দুর্ঘটনা ঘটার পরে এইসব ক্যামেরা বিকল না থাকে।

এদিকে পুলিশ দাবী করছে নগরীর আগের স্থাপনকৃত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার জন্য অপরাধ প্রবনতা কমে এসেছে এমনকি অপরাধীদের সনাক্তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব ক্যামেরা। এমনকি নতুন আরও ক্যামেরাগুলোও নগরীর নিরাপত্তা জোরদারেও কাজে দেবে।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা বলেন, নগরীর নিরাপত্তা জোরদারে আরও ৭০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন স্বল্প সময়ের মধ্যে এগুলো লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আগের স্থাপনকৃত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের পর ২২টি ক্যামেরার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানাকে। তারা ওই ক্যামেরাগুলো রক্ষনাবেক্ষণ করছেন। তবে ওই ২২টির মধ্যে ১৬টি ক্যামেরা সচল রয়েছে। বাকি ৬টি ক্যামেরা বিকল রয়েছে। তবে ওইগুলোও দ্রুত সারানো হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2wJtfR4

September 24, 2017 at 12:13AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top