বলিউডে সল্লু ভাইজানের দাপট সম্পর্কে কে না জানে? ৫১ বছর বয়সী সালমান খান মনে হয় তাঁর তারকাখ্যাতি নিয়ে কখনো অহংকার করেননি। তা না হলে তাঁর হাত ধরে আজ অর্জুন-ক্যাটরিনারা তারকা হয়ে উঠতেন না। তিনি যাঁদের বলিউডে প্রবেশ করতে কিংবা যাঁদের বড় তারকা হতে সাহায্য করেছেন, তাঁরা হয়তো কোনো দিন সালমান খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটুও কার্পণ্য করবেন না। তাঁর মতো উদার হৃদয়ের ব্যক্তির জন্য হৃদয় উজাড় করা কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ঢেলে দেওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি? দেখে নিন কোন পুরুষের জীবনে ভাইজান সাহায্যকর্তা হয়ে উপস্থিত হয়েছেন। অর্জুন কাপুর ইশাকজাদে (২০১২) তারকা অর্জুন কাপুর কিন্তু বাবা প্রযোজক বনি কাপুর, চাচা অনিল কিংবা সঞ্জয় কাপুরের পরিচয়ে বলিউডে প্রবেশ করতে পারতেন অনেক আগেই। সেটা তিনি করেননি। তাঁকে নিজে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সালমান খান। বেশ নাদুসনুদুস ছিলেন অর্জুন। সল্লু ভাইজানের কড়া প্রশিক্ষণ তাঁকে ফ্যাট থেকে ফিট বানিয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন বলেন, সালমান ভাই আমার মধ্যে একজন অভিনেতাকে দেখতে পেয়েছিলেন। হিমেশ রেশামিয়া অভিনয়ে সফল না হলেও সংগীত জগতে হিমেশ রেশামিয়া যে তারকা বনেছেন, এটা অনস্বীকার্য। তবে এর পেছনে হাত আছে সল্লু ভাইজানের। সালমান খানের পেয়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া (১৯৯৮) ছবিতে প্রথম কাজ করেন হিমেশ। সেই ছবির সফল গান ওড়লি চুনারিয়ার সংগীত পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তখন সালমানের সঙ্গে পরিচয়ের পর তাঁদের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সালমান টের পান হিমেশ বেটা আসলে প্রতিভাধর একজন। এরপর সালমানের তেরে নাম (২০০৩) ছবির সংগীত পরিচালনা করেন যৌথভাবে সাজিদ-ওয়াজিদের সঙ্গে। ব্যস, পেয়ে যান সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। খান সাহেবের বডিগার্ড (২০১১) ছবির তেরি মেরি গানটাও কিন্তু কম সফলতা এনে দেয়নি হিমেশ রেশামিয়াকে। সুরজ পাঞ্চলি সদ্য ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করেছেন অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরজ পাঞ্চলি। বাবার পরিচয় দিয়েই তিনি প্রবেশ করতে পারতেন বলিউডে। কিন্তু প্রথম সাহায্য পেয়েছেন সল্লু ভাইয়ের। সালমান খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ছবি হিরোতে (২০১৫) অভিষেক হয় তাঁর। আরএস/০২:১৫/২৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wZkSkh
September 29, 2017 at 08:40PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন