বালুরঘাট, ১৭ সেপ্টেম্বরঃ বাইক চেকিংয়ের অজুহাতে একটি দৈনিক পত্রিকার জেলা সংবাদদাতাকে বেধড়ক মারধর করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। গতকাল অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে বাড়ি ফেরার পথে রথতলা এলাকায় ওই সাংববাদিক ইন্দ্র মহন্ত ও তাঁর বন্ধু টহলকারি পুলিশের খপ্পরে পড়েন। সংবাদকর্মী বলে পরিচয় দেওয়ার পর থানার আইসি-কে ফোন করার চেষ্টা করলে মারধরের মাত্রা আরো বাড়ে বলে অভিযোগ। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে রাতভর লকআপে ঢুকিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। সকাল হলে বিনা কেসেই মুক্তি দেওয়া হয় ইন্দ্রকে। গুরুতর আহত ইন্দ্রকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হতেই জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সমস্ত সাংবাদিকরা একযোগে আন্দোলনে নেমে পড়েন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কানেও ঘটনার খবর যায়। তিনিও ঘটনার খোঁজখবর নেন। দোষীরা যাতে রেহাই না পায়। তার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার আগেই জেলা পুলিশ তদন্তে নেমে ওই সাংবাদিককে যে অন্যায়ভাবে মারধর ও আটকে করে রাখা হয়েছিল তা জানতে পারে। ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশকর্মীকে (এসআই শিশির সরকার ও এএসআই সিদ্ধার্থ সরকার) অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার পাশাপাশি শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা পুলিশ। এছাড়াও একজন এনভিএফ কর্মী ও তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইন্দ্র মহন্ত বলেন, ‘বিনা প্ররোচনায়, বিনা অপরাধে এভাবে আক্রমণ ভাবতেই পারছি না। মনে হচ্ছিল ওই পুলিশকর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের মারছে। থানায় সিসিটিভি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।’
পুলিশ সুপার প্রসূন ব্যানার্জি বলেন, ‘এমন ঘটনা কাম্য নয়। আমরা ভীষণ লজ্জিত। অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এনভিএফ ও সিভিক কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2fsqhWs
September 17, 2017 at 08:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন