ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর- রবিউল আলমকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন হতে পারত এই শিরোনামেমৃত্যুঞ্জয়ী ক্রিকেটার। সেটি আর হলো না! স্বপ্ন দেখেছিলেন সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে হবেন দুর্দান্ত এক পেসার। কিন্তু সেই স্বপ্নটা ডালপালা মেলার আগেই হঠাৎ এক ঝড়ে শেষ। গত আগস্টে অনুশীলনের সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। পরে জানতে পারেন, তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও কিডনি নষ্ট হওয়ার কোনো লক্ষণই ছিল না তাঁর মধ্যে। পেসার হওয়ার আদর্শ ফিটনেস ছিল ২৪ বছর বয়সী রবিউলের। ঢাকায় চিকিৎসার পর গত ডিসেম্বরে ভারতে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দেশে। পরিবার থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হলেও রবিউলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় টাকা। এ নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রথম আলোর খেলার পাতায় জীবন-মৃত্যুর মাঝে এক ক্রিকেটার শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে সেরে উঠতে থাকেন রবিউল। প্রায় সাত মাস ভর্তি থাকার পর গত জুনে মোহাম্মদপুরের সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুমিল্লায় বাড়িতে নেওয়া হয় তাঁকে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ফিরে আসা রবিউল যখন ধীরে ধীরে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন, তখন আবারও একটি ঝড়। এই ঝড়টি আর সামলাতে পারেননি কুমিল্লার তরুণ পেসার। ঈদুল আজহার সপ্তাহ খানেক আগে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রক্তে সংক্রমণে ভুগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন রবিউল। রবিউলকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন তাঁর বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়া জাহাঙ্গীর কাল এতটুকুই বলতে পারলেন, ফুসফুসের সমস্যাটা সেরে গিয়েছিল। সে মাঝে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। নিয়মিত খেলার মাঠে যেত। হাসপাতালে থাকতে ওজন কমে ৪৮ কেজিতে নেমে এসেছিল। ধীরে ধীরে যখন সুস্থ হয়ে উঠছিল, ওজন ৬৪ কেজি হয়েছিল। নতুন করে রক্তে সংক্রমণ হয়েছিল। ও যে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে বুঝতে পারিনি। ২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মানিগ্রাম পেসার হান্টে কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা বোলার। গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলতে ট্রায়াল দিয়ে ভালো করেছিলেনরবিউলের সাফল্যের গল্পগুলো তাঁর পরিবারের কাছে এখন দীর্ঘশ্বাস! মারাত্মক অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে ফিরে আসছিলেন। আবার দপ করে নিভে গেলেনভাগ্য বোধ হয় তাঁকে নিয়ে একটু বেশিই খেলল! আরএস/০২:১৪/১৩ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2eUvdm0
September 13, 2017 at 09:15PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন