আহমেদাবাদ, ১৭ সেপ্টেম্বরঃ নিজের ৬৭ তম জন্মদিনে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করলেন সর্দার সরোবর বাঁধের। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ এটি। সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁধের উদ্বোধন করলেন তিনি। এই বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৬১ সালে এবং নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। জওহরলাল নেহেরুর শুরু করা এই প্রকল্প শেষ হতে সময় লেগেছে ৫৬বছর। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি গোটা দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন এই বাঁধ। আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বাঁধের উদ্বোধন হল।
কয়েক মাসের মধ্যেই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। বুলেট ট্রেন উদ্বোধনের পর এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার গুজরাতে এলেন মোদি।
আদালতের নির্দেশে ১৯৯৬ সালে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের জেরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০০০ সালে পুনরায় শর্তসাপেক্ষে কাজ শুরু হয়। দা নর্মদা কন্ট্রোল অথোরিটি সর্দার সরোবর প্রকল্পটি একসময় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরই বাঁধের দৈর্ঘ্য ১২১.৯২ মিটার থেকে বাড়িয়ে ১৩৮ মিটার করা হয়। বাঁধের ধারণ ক্ষমতা ১.২৭ মিলিয়ন কিউবেক মিটার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৪.৭৩ মিলিয়ন কিউবেক মিটার। ১.২ কিলোমিটার লম্বা এই বাঁধের গভীরতা ১৬৩ মিটার।
দৈর্ঘ্য ও জলধারণ ক্ষমতার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড কাউলি বাঁধের পরই রয়েছে সর্দার সরোবর বাঁধ। এখনও পর্যন্ত এই বাঁধের দুটি পাওয়ার হাউজ রিভার বেড ক্যানাল হেড থেকে মোট ৪,১৪১ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এই দুটি বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা যথাক্রমে ১২ মেগাওয়াট ও ২৫০ মেগাওয়াট। বাঁধ থেকে আয় হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। নির্মাণ খরচের দ্বিগুন বেশি এই অর্থ। বাঁধের প্রতিটি গেটের ওজন ৪৫০ টন। যা বন্ধ করতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এসএসএনএল সূত্রে খবর, এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। বাঁধ থেকে উৎপাদিত ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎ যায় মহারাষ্ট্রে। মধ্যপ্রদেশ পায় ২৭ শতাংশ এবং ১৬ শতাংশ পায় গুজরাত।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2wyvPEd
September 17, 2017 at 11:53AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন