কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিশ্ব পর্যটন দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় কুমিল্লায়ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হবে দিবসটি। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘টেকসই পর্যটন-উন্নয়নের মাধ্যম’। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আমরা আজ কুমিল্লার পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলব। দেশের দু’প্রধান নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত প্রাচীন জেলা কুমিল্লা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রেল লাইন এ জেলার বুক চিড়ে চলে গেছে দু’ প্রধান গন্তব্যে। কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, হোটেল-মোটেল ও শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠখ্যাত এ কুমিল্লায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অপার প্রাকৃতিক সম্পদ। যোগাযোগ সমৃদ্ধ হওয়ায় কুমিল্লার এ জনপদে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটকের ভিড় দেখা যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত দৃষ্টিনন্দন স্পটগুলোয়। সরকারি ঘোষণা না থাকলেও কুমিল্লা হতে পারে সমৃদ্ধ এক পর্যটন নগরী।
কী আছে কুমিল্লায়
শালবন বিহার: শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। কুমিল্লা নগর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার অবস্থিত। সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বৌদ্ধ রাজাদের শাসনামলে শালবন বিহার স্থাপিত হয়।
চারপত্র মুড়া : এই স্থানটি কুটিলা মুড়া থেকে প্রায় ১.৫০ মাইল উত্তর পশ্চিমে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। এই পাহাড়ের শীর্ষ দেশ সমতল, আকারে ছোট এবং আশপাশের ভূমি থেকে ৩৫ ফুট উঁচু। ১৯৫৬ সালে সামরিক ঠিকাদারদের বুলডোজার ব্যবহারের ফলে পূর্ব পশ্চিমে ১০০ ফুট দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে ৫৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি ছোট চতুষ্কোণ বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কৃত হয়।
কুটিলা মুড়া : এই স্থানটি শালবন বিহার থেকে উত্তরে তিন মাইল দূরে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। খননের ফলে এখানে প্রাচীনকালের তিনটি স্তূপ নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।
নবাব ফয়জুন্নেসার বাড়ি : নবাব ফয়জুন্নেসা (১৮৩৪-১৯০৩) জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলাধীন পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সৃতি হসেবে আজো রয়েছে তার নবাব বাড়িটি।
জাদুঘর : শালবন বিহারের পাশেই রয়েছে জাদুঘর। এই জাদুঘরে রয়েছে দর্শনীয় সব পুরাকীর্তি এবং বিভিন্ন রাজবংশীয় ইতিহাস, ব্যবহৃত তৈজসপত্র, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের ছোট ছোট বুদ্ধ মূর্তি, দেব-দেবির মূর্তি, পোড়া মাটির ফলকচিত্র, অলংকৃত ইট, পাথরের মূর্তি, মাটি ও তামার পাত্র, দৈনন্দিন ব্যবহার সামগ্রী- দা, কাস্তে, কুঠার, ঘটি, বাটি, বিছানাপত্র ইত্যাদি। জাদুঘরের পাশে বন বিভাগ নতুন ২টি পিকনিক স্পট করেছে।
ইটাখোলা মুড়া : কোর্টবাড়ি থেকে অল্প পশ্চিমে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ক্যাম্প বরাবর উত্তর টিলায় ইটাখোলা মুড়া অবস্থিত। আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে হয়। এখানে একটি বৌদ্ধ মূর্তি আছে। মূর্তিটির উর্ধাংশ জাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রায় সর্বদাই দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এ স্থানটি।
আনন্দ বিহার : ময়নামতি লালমাই পাহাড়ের অসংখ্য বৌদ্ধ স্থাপত্য কীর্তির মধ্যে আনন্দ বিহারই সর্ববৃহৎ। অষ্টম শতকের দেব বংশীয় প্রভাবশালী রাজা আনন্দ দেব কর্তৃক এখানে শালবন বিহারের অনুরূপ একটি বিশাল বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়েছিল। এখানে আবিষ্কৃত সম্পদের মধ্যে মৃন্ময় দীপ, বৌদ্ধ দেব-দেবীর বিভিন্ন ব্রোঞ্জের মূর্তি, মদ্রালিপি সম্বলিত ফলক, মৃৎ পাত্র ও গুটিকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
লালমাই পাহাড় : লালমাই পাহাড় নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। সেটি এ রকম- লংকার রাজা রাবণ রামের স্ত্রী সীতাকে হরণ করে নিয়ে গেলে রাম তার ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। এতে লক্ষ্মণ আহত হলে কবিরাজ বিশল্যাকরণী গাছের পাতা হিমালয় পাহাড় থেকে সূর্যোদয়ের পূর্বে এনে দেয়ার কথা বলেন। হনুমান গাছটি চিনতে না পেরে পুরো পর্বত নিয়ে আসে এবং কাজ শেষে পাহাড়টি যথাস্থানে রাখতে যাওয়ার সময় অনেকটা আনমনা হয়ে যায়। ফলে পাহাড়ের একাংশ লম লম সাগরে পড়ে যায়।
রূপবান মুড়া : কোটবাড়ি বার্ডের প্রধান ফটকের অদূরে (পশ্চিমে) এ স্থানটি অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের পর এখানে একটি বিহার, একটি মন্দির, একটি ক্ষুদ্র স্তূপ ও একটি উচ্চ মঞ্চের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়। এখানকার কারুকাজ খচিত প্রাচীন মন্দিরটি সত্যিই দেখার মতো।
চন্ডিমুড়া মন্দির : কুমিল্লা মহানগর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে জেলার লাকসাম-বরুড়া-সদর উপজেলার ত্রিমুখী মিলনস্থলে পাহাড়চূড়ায় ২ একর ৬৮ শতক জায়গাজুড়ে চন্ডি ও শিব নামক দুটি মন্দির অবস্থিত। চন্ডিমন্দিরের নামানুসারে এলাকাটি চন্ডিমুড়া হিসেবে পরিচিত। এর অদূরেই রয়েছে দুতিয়া দীঘি। মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর তিনটি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্থানের অসংখ্য ভক্ত-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি : ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, আফ্রিকান, জাপানী, আমেরিকান, ভারতীয় ও নিউজিল্যান্ডের ৭৩৭ সৈন্যের সমাধিস্থল এটি। সকাল ৭টা-১২টা এবং ১টা-৫টা পর্যন্ত এখানে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কুমিল্লা নগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছায়াঘেরা স্নিগ্ধ নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত এ ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি।
ময়নামতি পাহাড় : কুমিল্লা-সিলেট সড়কের বুড়িচং এলাকায় ময়নামতি পাহাড় অবস্থিত। চতুষ্কোণ এ পাহাড়টির উপরিভাগ সমতল, উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এখানকার আবিষ্কৃত স্থাপত্য নিদর্শনগুলো আনুমানিক ১২শ’-১৩শ’ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
দীঘির জেলা কুমিল্লা : ছোট-বড় অসংখ্য দীঘি রয়েছে কুমিল্লায়। এর মধ্যে নানুয়ার দীঘি, উজির দীঘি, লাউয়ার দীঘি, রানীর দীঘি, আনন্দরাজার দীঘি, ভোজ রাজার দীঘি, ধর্মসাগর, কৃষ্ণসাগর, কাজির দীঘি, দুতিয়ার দীঘি, শিবের দীঘি ও জগন্নাথ দীঘির নাম উল্লেখযোগ্য।
চিড়িয়াখানা : জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমান সেখানে। এ চিড়িয়াখানায় আরো নতুন নতুন প্রাণীর সমাবেশ ঘটানোর দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
মহাত্মা গান্ধী ও রবিঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত অভয় আশ্রম : নগরীর প্রাণকেন্দ্র লাকসাম রোডে আড়াই একর জমির ওপর অভয় আশ্রমের অবস্থান। এখানে মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সীমান্ত গান্ধী, আবদুল গাফফার খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ বহু গুণীজনের আগমন ঘটেছিল। এ আশ্রমে থাকা দরিদ্র মানুষেরা খাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করত।
কবি নজরুল স্মৃতি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে কুমিল্লায়। কবি নজরুলের স্মৃতিধন্য কবিতীর্থ দৌলতপুর দেখতে যেতে পারেন মুরাদনগরে। এখানে নার্গিসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কুমিল্লা ও দৌলতপুরে অনেক কবিতা ও গান রচনা করেছেন কাজী নজরুল।
নূরজাহান ইকো পার্ক : মহানগরীর ইপিজেডের পূর্বপার্শ্বে নেউরা এলাকায় ৬৪০ শতক জমিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নূরজাহান ইকো পার্ক স্থাপন করেন গায়ক ও সংস্কৃতিমনা আবদুর রাজ্জাক। সম্পূর্ণ গ্রামীণ আর বাংলার লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে নূরজাহান ইকো পার্ক। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। পার্ক অভ্যন্তরে পুকুরে জলপরীর নান্দনিক মূর্তি যে কাউকে আকৃষ্ট করে। এতে প্রবেশ ফি ২০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে।
শাহ সুজা মসজিদ : মহানগরীর মোগলটুলিতে অবস্থিত শাহ সুজা মসজিদ। সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভাই শাহজাদা সুজার নামানুসারে এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছে। এতে গম্বুজের সংখ্যা ৩টি, মিনার ৬টি, দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট। দেয়ালের পুরুত্ব ৫-৮ ইঞ্চি।
রাজেশপুর ইকো পার্ক : জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন এলাকা থেকে সড়কপথে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন রাজেশপুর ইকো পার্কে যাওয়া যায়। এর আয়তন ৫৮৭ দশমিক ৮৯ একর। এই ইকো পার্কে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছপালা, পশু-পাখি এবং কৃত্রিম বাঘ-বানর, ভাল্লুকসহ নানান প্রাণীর ভাস্কর্য। শীতকালে এ পিকনিক স্পটে অনেক পিকনিক পার্টির আগমন ঘটে।
জামবাড়ি : নগরীর প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে জামবাড়ির অবস্থান। নয়নাভিরাম জামবাড়ি এলাকা নাটক ও চলচ্চিত্রের শূটিং-এর জন্য নির্মাতাদের অন্যতম পছন্দের স্থান। এখানে এলে প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় হারিয়ে যেতে চাইবে আপনার মন। পাখ-পাখালীর কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত গোটা জামবাড়ি এলাকা। কয়েক বর্গমাইল বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় কয়েকটি উঁচু-নিচু ঢিবি।
কোর্টবাড়ি বার্ড : বার্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে ফি লাগে না, তবে অনুমতি নিতে হবে। বার্ডের ভেতরের সুন্দর রাস্তা দিয়ে সামনে এগুলেই দুই পাহাড়ের মাঝখানে দেখতে পাবেন অনিন্দ্যসুন্দর বনকুটির। ১৯৫৯ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন ড. আখতার হামিদ খান।
রানীর বাংলো : কুমিল্লা-সিলেট সড়কের জেলার বুড়িচংয়ের সাহেববাজারে রানীর বাংলো অবস্থিত। সেখানে এখনও খনন কাজ চলছে। এখানকার দেয়ালটি উত্তর-দক্ষিণে ৫১০ ফুট লম্বা ও ৪শ’ ফুট চওড়া। সেখানে স্বর্ণ ও পিতলের দ্রবাদি পাওয়া গেছে।
নদীর নাম গোমতী ও কাকড়ী : কুমিল্লাবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী গোমতী নদী। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নগরীর পাশে বানাশুয়া বা চাঁন্দপুর ব্রিজে গিয়ে গোমতীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া খরস্রোতা কাকড়ী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নদী থেকে সংগৃহীত বালি পাকা ইমারত নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
নীলাচল পাহাড় : বার্ডের ভিতরে রয়েছে নীলাচল পাহাড়। নির্জন প্রকৃতির এক অকৃত্রিম ভাললাগার জায়গা হচ্ছে নীলাচল।
কেটিসিসি পর্যটন কেন্দ্র : সদর উপজেলা পরিষদের পাশে অবস্থিত কেটিটিসির পর্যটন কেন্দ্র। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে চমৎকার একটি পার্ক।
এছাড়া নগরীর চর্থায় দেখে যেতে পারেন উপ-মহাদেশের সঙ্গীত সম্রাট শচীন দেব বর্মণের বাড়ি। বাগিচাগাঁওয়ে রয়েছে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা অতীন রায়ের বাড়ি। দেখতে পারেন কুমিল্লা পৌর পার্ক, চিড়িয়াখানা ও শতবর্ষী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।
কুমিল্লার খদ্দর : কুমিল্লায় এসে ঐতিহ্যবাহী খদ্দর কিনতে ভুলবেন না কিন্তু। নিজের ও প্রিয়জনের জন্য কিনে নিতে পারেন কুমিল্লার খদ্দরের রকমারি পোশাক আর কুমিল্লা সিল্ক।
মিষ্টি-রসমালাই : কুমিল্লার মিষ্টি ও রসমালাইয়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। মনোহরপুরের মাতৃভান্ডার এবং শীতল ভান্ডারের রসমালাই, পেড়া ভান্ডারের সুস্বাদু পেড়া আর কান্দিরপাড়ের জলযোগের স্পঞ্জ মিষ্টি আপনার রসনা তৃপ্ত করবে।
কিভাবে যাবেন : ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট বা দেশের যে কোন জেলা থেকে কুমিল্লা যেতে আপনি রেলপথ বা সড়কপথের যে কোনটি বেছে নিতে পারেন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে যেতে পারেন অথবা ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসেও যেতে পারেন ইতিহাস-ঐতিহ্যখ্যাত ও শত শত বছরের পুরনো পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা কুমিল্লায়।
কোথায় থাকবেন-খাবেন : কুমিল্লার বিখ্যাত স্থানসমূহ দেখার জন্য সেখানে কমপক্ষে দুই-তিন দিন থাকতে হবে। থাকার জন্য রয়েছে কুমিল্লা বার্ড (কোর্টবাড়ি), হোটেল নূরজাহান (পদুয়ার বাজার), ময়নামতি (শাসনগাছা), কিউ প্যালেস (রেইসকোর্স), আশিক (নজরুল এভিনিউ), আল রফিক, নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে হোটেল সোনালী, হোটেল মেরাজ ও হোটেল আমানিয়ায় থাকতে পারেন। খেতে পারেন নগরীর গ্রীন ক্যাসেল, সিলভার স্পোন, ক্যাপসিকাম, হোটেল ডায়না, বাঙলা রেস্তোরাঁ, কস্তুরী, পিসি রেস্তোরাঁ, হোটেল রূপসী কিংবা ইউরোকিংয়ে। এছাড়াও খেতে পারেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে হোটেল নূরজাহান, চৌদ্দগ্রামের হোটেল হাইওয়ে-ইন, হোটেল অফবিট, ডলি রিসোর্ট, ভিটা ওয়ার্ল্ড ও টাইম স্কয়ারে।
The post সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী কুমিল্লা appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2y6uycV
September 26, 2017 at 11:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.