রোহিঙ্গা উদ্ধারে ‘দ্য ফিনিক্স’ আসছে বঙ্গোপসাগরে

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: মিয়ানমারের সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসছে ভূমধ্যসাগরে কাজ করা একটি উদ্ধারকারী দল। ‘দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন’ নামের সংগঠনটি এতদিন লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বাঁচাতে কাজ করে এসেছে। খবর বিবিসির।

সংস্থাটি ‘দ্য ফিনিক্স’ নামে উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে।

সংগঠনটির উদ্ধারকারী দল ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করে আসছে। এবার তারা তাদের কাজের স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে।

মাল্টা থেকে সংস্থাটি তাদের উদ্ধারকারী জাহাজকে পাঠাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। উদ্দেশ্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাঁচানো।

উদ্ধারকারী জাহাজটি প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌঁছতে। মিয়ানমার সরকার গত মাস থেকে আবারও রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমগোষ্ঠীর ওপর সেনা অভিযান শুরু করে।

এ অভিযানের পর বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামে। জাতিসংঘের হিসাবে ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নতুন করে গত দশ দিনে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এমন পরিসংখ্যানই সংগঠনটিকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে এনেছে বলে জানানো হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজটির প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌঁছতে।

আর সেখানে গিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের যতদূর সম্ভব মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে চায়। একই সঙ্গে তাদের জন্য অঞ্চলটিতে স্বচ্ছতা,সমর্থন ও জবাবদিহিতার একটি প্লাটফর্ম তৈরিতেও ভূমিকা রাখতে চায়।

এদিকে রোহিঙ্গা সংকটে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

তিনি বলেন,মিয়ানমারের নেত্রীকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যে কোনো দেশের সরকারের কাছ থেকেই আশা করি যে, তারা তাদের নিজের এলাকার সবাইকেই রক্ষা করবে।

যদিও সু চি একটি কঠিন অবস্থানের মাঝে আছেন,তবু আমার মনে হয় তার এখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।

জাতিসংঘের ওই দূত জানান,গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এবারের হামলা আরও ব্যাপক।মিয়ানমার সরকারের ভূমিকা সমালোচিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় রোববার মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে একটি পেট্রল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। চেচনিয়ায় হাজারো মানুষ র্যাালিতে অংশ দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

রাশিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে থেকে ১৭ জনকে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজাখস্তান মিয়ানমারের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2gBq8Qd

September 05, 2017 at 06:07PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top