কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর- বর্ধমান শহরে দুই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ৷ ধৃতদের নাম দীপেশ কুমার দীপক এবং সুকান্ত সাহা৷ প্রথম জনের বাড়ি বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকায় এবং দ্বিতীয়জনের বাড়ি বর্ধমান শহরের লাকুড্ডি এলাকায়৷ মঙ্গলবার এই দুই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ এসে পৌঁছানোর পরই বর্ধমান শহরের প্রভাবশালীরা জোরদার চেষ্টা চালায় দুই ডাক্তারকে না গ্রেফতার করার জন্য৷ কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশকে সামনে রেখেই পুলিশ দুই ডাক্তারকে গ্রেফতার করায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়৷ বুধবার তাদের বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়৷ পুলিশ এই ভুয়ো ডাক্তারদের চক্রের হদিশ পেতে ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতে নেবার আবেদন জানিয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য৷ এদিন বর্ধমান থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সম্প্রতি ভুয়ো ডাক্তার নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে হৈচৈ-এর সময় এই দুই ডাক্তার হাইকোর্টে মামলা করে জানান, বর্ধমানের জেলাশাসক এবং জেলা মুখ্যস্বাস্থ্যাধিকারিক তাদের হয়রানি করছে, তাঁদের প্র্যাকটিস করতে দিচ্ছে না৷ এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানান৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান৷ হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিএমওএইচ)-কে তদন্তের নির্দেশ দেন৷ তদন্তে নেমে এসিএমওএইচ সুকান্ত, দীপেশ, সুদীপ্ত কুমার দে, শঙ্কর বিশ্বাস ও মণিমোহন শিকদারের প্রাইভেট প্র্যাকটিস সম্পর্কে খোঁজখবর নেন৷ স্বাস্থ্য দফতরের টিম তাঁদের চেম্বার পরিদর্শন করে৷ তদন্ত শেষে মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক ডা. প্রণব রায় হাইকোর্টে রিপোর্ট দেন এই দুই ডাক্তার ভুয়ো৷ এরপরই হাইকোর্ট মঙ্গলবার বর্ধমান থানাকে এই দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেয়৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ভোরে এই দুই ভুয়ো ডাক্তারকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক ডা. প্রণব রায় জানান, দীপেশ কুমার দীপকের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ৷ কিন্তু তিনি এম.ডি বোর্ড লাগিয়ে চিকিৎসা করছিলেন৷ সুকান্ত সাহা অষ্টম শ্রেণি পাশ৷ তিনি এমবিবিএস এবং এমডি লিখে ডাক্তারি করছিলেন৷ হাইকোর্ট জানতে চাওয়ায় গোটা বিষয়টিই জানানো হয়৷ তারপরই হাইকোর্ট এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেয়৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই ভুয়ো ডাক্তার ছাড়াও কালনা, কাটোয়া সহ আরও মোট পাঁচ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে বর্ধমান থানায়৷ অন্যদিকে, বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকিদের খোঁজ চলছে৷ এদের মধ্যে খণ্ডঘোষ, মেমারী থানা এলাকা ছাড়াও খোদ বর্ধমান শহরেরই এক ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে৷ এছাড়াও কালনা ও কাটোয়াতেও দুজন ভুয়ো ডাক্তারের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সিজেএম সঞ্জয় রঞ্জন পাল এদিন ধৃতদের পাঁচ দিন পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করেন৷ আর/১২:১৪/১৪ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2x1RsR5
September 14, 2017 at 06:57AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন