ওসি আখতার হোসেন এর সার্বিক সহযোগিতায় ইব্রাহিম মোল্লার চিকিৎসা চলছে।

সুরমা টাইমস ডেস্ক :: ওসি আখতারের প্রচেষ্টায় বাঁচলো আরো একটি প্রাণ।চলছে শারদীয় দূর্গা পূজা। পূজা শান্তির্পূণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন সর্বক্ষণ। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দূর্গা পূজোর অষ্টমীর দিন, বাড়তি ব্যস্ততা নিয়েই প্রতিদিনের মত দায়িত্ব পালন করছেন শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন। এমন সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওসি আখতার হোসেনের মুঠোফোনে কল এলো খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেনের।
দেলোয়ার হোসেন ওসি আখতার হোসেনকে জানান যে, তার ওয়ার্ডের মিরেরচক এলাকার নিজ মালিকানাধীন ফিশারীতে একটি লাশ পানিতে ভাসতে দেখা যাচ্ছে। সংবাদ পাওয়ার পর আখতার হোসেন তাৎক্ষনিক থানা এলাকায় ডিউটিরত এসআই কাজী জামাল উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এসআই কাজী জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ফিশারীর পানি হতে মৃত মনে করে অনুমান ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের দেহ তোলেন। পানি থেকে তোলার পর প্রাথমিক দৃষ্টিতে দেহে প্রাণ আছে এবং নাক দিয়ে অল্প অল্প শ্বাস নিচ্ছে মনে হওয়ায় তাৎক্ষনিক তিনি বিষয়টি ওসিকে জানান। অতঃপর এসআই কাজী জামাল উদ্দিন তার সাথে থানা পুলিশসহ ও এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান।
জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর অজ্ঞাত ভিকটিম সামন্য নড়াচড়া শুরু করে। ভিকটিমের পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশের তত্বাবধানে তাকে অজ্ঞাত হিসেবে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন একপর্যায়ে ভিকটিম কিছুটা চেতনা ফিরে পায়, ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এলোমেলো কথা বলে । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঠিকানা উল্লেখ করে। তাহার নাম ইব্রাহিম মোল্লা, ঠিকানা-ওসমানী নগর থানার জালালপাড়া দয়ামির এবং তার ভাইয়ের নাম জুয়েল বলে জানায়।
ওসমানী মেডিকেল এর চিকিৎসক আব্দুল মান্নান জানান, এধরনের ঘটনায় তাৎক্ষনিক হসপিটালাইজেশন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মূসা জানান, বর্তমানে শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন এর সার্বিক সহযোগিতায় ভিকটিম ইব্রাহিম মোল্লার চিকিৎসা চলছে।
এব্যাপারে শাহপরান (রহ.) থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, ভিকটিম এখন বিপদমুক্ত। এসআই কাজী জামাল উদ্দিন ভিকটিমের দেখা-শোনার দায়িত্বে আছেন। তবে এখনো ভিকটিমের কোন আত্মীয় স্বজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। তাই কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি ইব্রাহিম মোল্লাকে চিনে থাকলে বা তার পরিচয় পেয়ে থাকলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ১নং ওয়ার্ডে অথবা শাহপরাণ (রহঃ) থানায় যোগযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গণপিঠুনি খেয়ে আহত হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন সাদিক নামক এক যুবক কে উদ্ধার করে নিজ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওসি আখতার। ওসি আখতারের এ ধরনের মহানুভবতা পুলিশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল করবে বলে মনে করছেন অনেকে।দায়িত্ব পালনের পাশাপশি মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ তাকে এই অনন্যতা দিয়েছে। বরাবরই ওসি আখতার তার মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2x2KTdR

September 30, 2017 at 12:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top