নিজস্ব প্রতিনিধি:: গোলাপগঞ্জে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩রা সেপ্টেম্বর) রাতে শ্বশুরবাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পারভীন বেগম (২০) উপজেলার লক্ষ্মীপাশা নিমাদল গ্রামের হিউম্যান হলার চালক আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার সাহেব বাজারের চাঁনপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনের মেয়ে।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রোববার রাতে লক্ষ্মীপাশা নিমাদল গ্রাম থেকে পারভিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পারভীন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশ যাওয়ার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলে। তবে সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আবদুল কুদ্দুস এবং শাশুড়ি দিলারা বেগমকে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পারভিনকে হত্যা করেছে। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, পারভীন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে বাঁচানোর জন্য ঘরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামান তারা।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2x4z23r
September 04, 2017 at 07:51PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন