সুরমা টাইমস ডেস্ক ::
সিলেটে অলিগলিতে থেমে নেই ভারতীয় তীর খেলা। পাড়া মহল্লায় নিষিদ্ধ এই তীর খেলা বেশ জমে উঠলেও গত কিছুদিন যাবত পুলিশ ও র্যাব’র সফল অভিযানে বন্ধ ছিল তীর খেলা। বর্তমানে আবারও জমে উঠেছে তীর খেলা। আগে যারা ছিল তীর বোর্ডের মালিক এখন তারা হল এজেন্ট আর নতুন নতুন বোর্ড পরিচালনা করছে। ভারতীয় তীর খেলার মূল তালিকায় বিত্তবানদের যোগ-সাযোগ রয়েছে। তারা আড়াল থেকে এসব বোর্ড পরিচালনা করেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ক্ষমতাসীন এসব ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশলে তীর খেলার মদদ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অনুসন্ধানে এ রকমই একটি তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সিলেটের বেশ কিছু স্থানে এসকল তীর খেলা চলছে দেদারছে।
আর তীর বোর্ডের আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এসব তীর বোর্ডের মূল (আন্ডাগ্রাউন্ডের) হোতারা পুলিশি অভিযানের পর বোর্ড মালিক ও কর্মচারীদের ছাড়িয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে এসব বোর্ডে আড়ালে থেকেই ঢিল ছুড়ছেন। সুশীল সমাজের কিছুসংখ্যক যুবক যাদেরকে লোকজন খুব ভালো জানে, তারাই এই তীর বোর্ডের মালিক। আর যারা দীর্ঘদিন ধরে তীর বোর্ডের মালিক তাদের রাতারাতি আর্থিক সচ্ছলতা দেখে অনেকেই মনে করছেন হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হলো কিভাবে।সিলেট সদরে,চাদনিঘাট মাছ বাজারার, উপশহর জি ব্লক ট্রাফিকপুলিশ অফিসের সামনে, নগরির সাদারপাড়া সিএনজি স্টেন্ড, বরদুল্লার পাড় রাসেলের দোকানসহ,আরো বিভিন্ন এলাকায় এসব ভারতীয় তীর খেলা চলছে। আর যারা এজেন্ট তারা নিজ নিজ বাড়িতে বসেই হিসাব গ্রহণ কষেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।পুলিশের এক সূত্র জানায়,
প্রতিদিনই তীর খেলার আসরে পুলিশ ধাওয়া করছে। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো শুরু হয় খেলা। তীর খেলায় জড়িত কয়েক জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। খেলা বন্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সম্প্রতি নগরীর উপশহর,সাদার পাড়া,ও বরদুল্লার পার রাসেলের দোকানে সিএনজি জুমন ও হিমু,আলম,আলামিন এর নেতৃত্বে তীর খেলা পরিচালনা করে আসছে তারা। ফলে তাদের লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন সেখানকার গরীব দিনমজুর, রিক্সাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্থরের লোকেরা।
স্থানীয়রা জানান,সাদার পাড়া সিএনজি স্টেন্ড ও উপশহর ট্রাফিকপুলিশ কার্যালয়ের সামনে হিমুর দোকানে প্রতিদিনই বসছে তীর খেলার নামক জুয়ার আসর। নগরীর সাদারপাড়া এলাকায়ও হিমুর নেতৃত্বে বসে এই জুয়ার আসর। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার তীর খেলা চলছে এখানে।
চলবে………………
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2jkg3M1
September 12, 2017 at 03:49PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন