ব্রিসবেন, ১০ সেপ্টেম্বর- সোসাইটি অব বাংলাদেশি ডক্টরস কুইন্সল্যান্ডের উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার নয়নাভিরাম ও সাগরঘেরা ইয়াপ্পুন শহরে কুইন্সল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী কনফারেন্স ও মিলনমেলা। এই কনফারেন্স উপলক্ষে বেশ কয়েক মাস ধরেই কুইন্সল্যান্ডের বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মধ্যে বেশ উৎসাহ এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। প্রায় তিন থেকে চার মাস ধরে চলে বহু প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। গত ১৮ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট তিন দিনব্যাপী এই কনফারেন্স ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ আগস্ট শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই চিকিৎসকেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন ইয়াপ্পুনের সাগর ঘেঁষা সল্ট ও আশপাশের হোটেলগুলোতে। ইয়াপ্পুনে পা রাখার পর থেকেই অতিথিরা টের পান রকহ্যাম্পটনের চিকিৎসকদের আতিথেয়তার ছোঁয়া। তাদের আয়োজনে রাতের খাবারের পরে গভীর রাত জেগে চলে আড্ডা এবং পরবর্তী দিনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। ১৯ আগস্ট সকালবেলায় চিকিৎসকেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে জাহাজে চড়ে রওনা হন বিখ্যাত গ্রেট ক্যাপেল আইল্যান্ডের উদ্দেশে। জাহাজে যথারীতি গরম চায়ের সঙ্গে চলে গানে গানে আড্ডা। আইল্যান্ডে পৌঁছে একদল চলে যান গ্লাসবটম বোটে চড়ে সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আরেক দল ক্যাপেল বিচের স্বচ্ছ পানিতে মেতে ওঠেন নানা রকম ওয়াটার স্পোর্টস গেমসে। জাহাজের মধ্যেই দুপুরের বারবিকিউ ও অন্যান্য খাবারের পরে বসে সোসাইটি অব বাংলাদেশি ডক্টরস কুইন্সল্যান্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। সভার আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবং বিকেলের চা খেয়ে সবাই ফিরে আসেন ইয়াপ্পুনে। শহরের সেন্ট ঊরসুলা কলেজ অডিটোরিয়ামে রাতের খাবারের পর বসে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোসাইটির সভাপতি ডা. জামিল আহমেদের উদ্বোধনী বক্তৃতার পরপরই ডা. মেহেরুল হুদার উপস্থাপনায় রকহ্যাম্পটনের চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে দর্শকেরা উপভোগ করেন অত্যন্ত মনোরম এক অনুষ্ঠান। এর পরেই শুরু হয় রকহ্যাম্পটনের ও ব্রিসবেনের চিকিৎসকদের পরিবেশনায় এবং ডা. সুইটের পরিচালনায় আধুনিক যাত্রা নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এরপরে ডা. মুন্তাসিরুর রহমান শুভ্র ও ডা. এলিন শারমিনের উপস্থাপনায় ব্রিসবেনের চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডা. আলী আরশাদ সুইট ও সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. নাজনীন নিজাম নীলা। ২০ আগস্ট সকালে শুরু হয় মূল কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিকতা। সকাল থেকেই সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম সারোয়ারের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় কনফারেন্সর রেজিস্ট্রেশন। রকহ্যাম্পটনের চিকিৎসকেরা ছাড়াও কনফারেন্সে যোগ দেন ব্রিসবেন, গোল্ডকোস্ট, টাউন্সভিল, বান্ডেবার্গ, ম্যাকাই, ন্যানাঙ্গো ও গ্ল্যাডস্টোনসহ আরও কয়েকটি শহরের বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা। রেজিস্ট্রেশনের পরপরই কনফারেন্সের কনভেনর ডা. মোহাম্মদ ইসলাম জামানের পরিচালনায় একে একে ডা. নিজাম দস্তগীর, ডা. নাবিলা জিনাত, ডা. নুরুন নাহার, ডা. জামিল আহমেদ ও ডা. ফাতিমা আশরাফি তাঁদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সর্বশেষে সোসাইটির সভাপতি ডা. জামিল আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কনফারেন্সের পরপরই ইয়াপ্পূণ বিচে রকহ্যাম্পটনের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বিচ সাইড পিকনিকের। যা পরিণত হয় এক পারিবারিক মিলনমেলায়। পিকনিকের নানা আয়োজন শেষে রোববার রাতেই চিকিৎসকেরা পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে। কনফারেন্স আয়োজনের সাব-কমিটিতে ছিলেন কনভেনর ডা. মোহাম্মদ ইসলাম জামান, রকহ্যাম্পটনের পক্ষে কো-অর্ডিনেটর ডা. আলী আরশাদ সুইট এবং তাকে সহযোগিতা করেন ডা. মেহেরুল হুদা ও ডা. ইমরান হুসেইনসহ রকহ্যাম্পটনের আরও কয়েকজন চিকিৎসক। সাব-কমিটিতে আরও ছিলেন ডা. মাযহার হক, ডা. ইরফানুল হক, ডা. ফাতিমা আশরাফি, ডা. খালেদ ভূঁইয়া, ডা. ফেব্রিনা হোসেইন ও ডা. জালাল আহমেদ। সাব-কমিটির বাইরেও কনফারেন্স আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেন তারা হলেন ডা. মোহাম্মদ আলম কাজল, ডা. বায়োজিদ, ডা. জহির চৌধুরী, ডা. নুরুল হোসেন, ডা. আবুল কাসেম খন্দকার, ডা. কোবায়দুর রহমান, ডা. মাসুদুল হক রুমি, ডা. মুরশেদ খান কৌশিক, ডা. সৈয়দ স্বপন, ডা. নাবিলা জিনাত, ডা. নুরুন নাহার, ডা. ফাতিমা জোহরা, ডা. সৈকত, ডা. মুহিত ও ডা. মিথিলাসহ আরও অনেক চিকিৎসকেরা। সাব-কমিটি ছাড়াও পুরো কনফারেন্স ও মিলনমেলার তত্ত্বাবধান করেন সোসাইটির সভাপতি ডা. জামিল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম সারোয়ার। আর/০৭:১৪/১০ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2whXY2q
September 10, 2017 at 02:50PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top