কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর- মৈত্রীর সুর বাজছে কলকাতার পুজোমন্ডপে। বলছে সম্প্রীতির কথা। বেশীরভাগ মণ্ডপেরই একটি নির্দিষ্ট আবহ সঙ্গীত থাকে। কিন্তু আবহ সঙ্গীত দুই দেশের সংস্কৃতির মিলন ঘটায়নি বা বলেনি সম্প্রীতির কথা। সেটাই করে দেখিয়েছে কালীঘাট মিলন সংঘ। দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশের দুই শিল্পীর সৃষ্টি নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মণ্ডপের আবহ সঙ্গীত। শারদোৎসবের ভিড়ে বাজছে আমার পথ ঢেইকাছে- আও কাবাড্ডি খেলে। গানের সুরকার দুই ভাই ময়ূখ ও মৈনাক। আবহ সঙ্গীতে মেশানো হয়েছে মদন ফকিরের গান ও গুলজারের কবিতা। এভাবেই মিশেছে দুই দেশের সংস্কৃতি। গানের ভাষা বলছে দুই জাতে অঙ্গ জুড়ায়, তাতেই যদি জগৎ পুড়ায়, তবে অভেদ সাধন মরল ভেদে। আমার পথ ঢেইকাছে মন্দিরে মসজিদে। এর অন্তর্নিহিত অর্থ যে সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে তা স্পষ্ট। গুলজারের কবিতার ভাষা বলছে, লকিরে হ্যাঁয় তো রহেনে দো, কিসিনে রুঠ কর গুসসে মে সায়দ খিঁচ দে থি। ইনহিকো আব বানাও পালা অউর আও কাবাড্ডি খেলে। এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মাঝে দাগ আছে তো থাকুক। কেউ হয়তো রেগে গিয়ে এই দাগ টেনে দিয়েছে। ইচ্ছা করলে দাগটা বাড়াতেও পারো। কিন্তু ওই দাগের দুই দিকে দাঁড়িয়ে কবাডি খেলা যেতে পারে। কবি এখানে বিভেদের মাঝের দাগ পেরিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। কালীঘাট মিলন সংঘের থিমের নাম সম্প্রীতি। সেই থিমের সঙ্গে মেলাতেই মিলেছে মদন ফকির ও গুলজারের গান ও কবিতা। গানটি গেয়েছেন মণ্ডপ শিল্পী সৌমিক নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, মণ্ডপ গড়ার পাশাপাশি বাউল গানের প্রতি আমার একটা বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সেইখান থেকেই এই গানটা আমার মণ্ডপে আবহ সঙ্গীতের জন্য ব্যবহার করব ভেবেছিলাম। তবে এই গান যে আমার গলায় রেকর্ড হবে তা ভাবিনি। মিউজিক কম্পোজার ময়ূখ জানিয়েছেন, সৌমিক অনেক মণ্ডপের আবহ সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছে। কিন্তু এই গানটা ও করতে চাইছিল না। প্রায় জোর করেই ওকে দিয়ে আমরা গানটা গাওয়াই। তিনি এও জানিয়েছেন, কবিতা ও গানকে এভাবে মেলানোর পুরো কৃতিত্বটা সৌমিকেরই প্রাপ্য। আরএস/১০:১৫/২৮ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2y9V4lN
September 28, 2017 at 06:38PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top