সুরমা টাইমস ডেস্ক::
বালাগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে কিত্তেজালালপুর ও ঐয়া গ্রামে পুরুষ শুন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গ্রামগুলোতে শুধূ মহিলা ও শিশুরা অভিবাবকহীন হয়ে বসবাস করছেন। নিহত পূর্ব ইছাপুরের দেলোয়ার হোসেন দিলাবরে জানাজার নামাজ বুধবার বাদ এশা অনুষ্টিত হয়ে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান সানউল্ল্যার ছেলে হাসান মিয়া বাদী হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিনকে আসামী করে দেড়শ জনকে আসামী করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ইতিমধ্যে ৭ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরন করেছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. জালাল উদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । এলাকা শান্ত রয়েছে। আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আটককৃতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় গত ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সান উল্ল্যা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে তারই জের ধরে
উল্লেখ্য যে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ভাতিজা জুয়েল আহমদকে সাবেক চেয়ারম্যান সান উল্ল্যার ভাগনা জাহাঙ্গীর মিয়া গংরা মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব ইছাপুর ও পশ্চিম ইছাপুর একপক্ষ এবং ঐয়া ও কিত্তে জালালপুর গ্রামবাসীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।দোকানপাট লুটপাট ভাংচুর এবং এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এদিকে মারধর করার সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপে পূর্ব ইছাপুরের দেলোয়ার হোসেন দিলাবর গুরুতর আহত হয়ে ছাদে থাকা বৈদ্যুতিক শটে গুরুতর আহত হয়ে ছাঁদ থেকে পড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দিলাবরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে রাত বারোটার দিকে সে মৃত্যুবরণ করেন। এব্যাপারে হাসান মিয়া বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২, ০৬/০৯/২০১৭ইং। আটককৃতরা হলেন আব্দুল হাসিম, আব্দুস শুকুর, নিজাম মিয়া, মনছুর মিয়া, কফিল মিয়া, শহীদ মিয়া ও আমীর আলী। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান আমি এ ঘটনার সময় এখানে ছিলাম না। পরে খবর পেয়েছি। দেলোয়ার হোসেন দিলাবর ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় বৈদ্যুতিক শট খেয়ে ছাদ থেকে পরে গুরুতর আহত হয়ে রাতে মারা যায়। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। অপরদিকে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শান উল্যা বলেন ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে শুনেছি জুয়েল আহমদ ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের রূপ নিয়ে উভয় গ্রামবাসী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে বাজারের বেশ কয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর সহ ১ জন নিহত হয়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2vSeue9
September 08, 2017 at 04:25PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন