কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর- ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন সঞ্চিতা। অভাবের সংসারেও কষ্ট করে হোমিওপ্যাথ নিয়ে পড়াশুনায় ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতেই আত্মহত্যা করলেন এই মেডিকেল ছাত্রী। খবর আনন্দবাজারের মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী বিষপানে আত্মহত্যা করেন। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়ার লিলুয়ার বি রোডের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়। বেলগাছিয়া নিতাইচরণ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। গত তিন বছর ধরেই এনআরএস-এর এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সঞ্চিতার। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায়। মেয়ের সম্পর্কের কথা জানত সঞ্চিতার পরিবারও। পুলিশের কাছে ওই পরিবার জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই প্রেমিকের সঙ্গে অশান্তি চলছিল সঞ্চিতার। কোনো কারণে ছেলেটি সঞ্চিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছিল। এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন সঞ্চিতা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতোই কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে পড়তে বসেছিলেন সঞ্চিতা। ফোনে কথা বলছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। এসময় ঝগড়া চরমে পৌঁছলে ফোনে কথা বলতে বলতেই বিষপান করেন সঞ্চিতা। এরপর কোনো রকম ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে বাবা-মায়ের সামনেই সঞ্চিতা ঢলে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয় সঞ্চিতাকে। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় সঞ্চিতার। এ ঘটনায় লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সঞ্চিতার পরিবার। সঞ্চিতার বাবা উত্তম চট্টোপাধ্যায় পেশায় পুরোহিত। সঞ্চিতা ছাড়াও আরো এক মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে উত্তমবাবুর। সঞ্চিতার ভাই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। মূলত তার আয়েই সংসার চলে সঞ্চিতাদের। আর/১২:১৪/১৩ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wnOKl9
September 13, 2017 at 06:48AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top