বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মেনে নেওয়া হবে না-রিজভী

সুুুরমা টাইমস ডেস্ক: বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে আশঙ্কা করে এর বিরুদ্ধে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (০৬ই সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন- “গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমার কথা, কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে; যা নজিরবিহীন ও গণবিরোধী।

“আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, এরকম পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মেনে নেওয়া হবে না। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে জনবিরোধী এ উদ্যোগ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এর আগে ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।

কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর জন্য বিদ্যুতের এই মূল্য বাড়ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ হচ্ছে অর্থনীতির জন্য অভিশাপ। এইসব প্রকল্পের পেছনের জড়িত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের আত্বীয়-স্বজন। তাদের লুটপাটের আরো বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

“বিদ্যুৎ-জ্বালানি এখন লুটের খাত। সরকার তার পছন্দের লোকদের দিয়ে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্রকল্প করিয়েছে। ওইসব প্রকল্পে জনগণের দেওয়া ট্যাক্স থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, তাতেও কুল পাচ্ছে না। এখন আবারো দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গরীবকে আরো গরীব বানাতে চাচ্ছে সরকার।”
বিদ্যুতের দাম বাড়লে পরিবহন, শিল্প ও ‍কৃষিখাতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রীর দাম বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান- ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্য্ন্ত ছয় বছরে পাইকারি পর্যায়ে ছয়বার এবং খুচরা পর্যায়ে সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে জ্বালানি তেলের দাম না কমায় সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।

শরীয়তপুরে ত্রাণ বিতরণ কার্য্ক্রমে পুলিশ ও ‘আওয়ামী লীগের’ হামলা, খুলনার রূপসায়, মাদারীপুর, চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জের বক্তারপুরে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার নিন্দা জানান রুহুল কবির রিজভী।

ঈদের মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার তুষখালী বাজার থেকে ধানীসাফা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দাও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মালেক, শরীয়তপুর জেলা সভাপতি সফিকুর রহমান কিরন, সাধারণ সম্পাদক সর্দার একেএম নাসিরউদ্দিন কালুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2xau8Sa

September 06, 2017 at 08:52PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top