কলকাতা, ০৮ সেপ্টেম্বর- নতুন করে অশান্তির আগুন দার্জিলিং-এ। শুক্রবার পুলিশ-গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চকবাজার এলাকা। এদিন চকবাজারে মোর্চার মিছিল ঘিরে সকাল থেকেই অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে মোর্চা কর্মীরা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিনই মিছিল করেন মোর্চা নেতারা। সেই মিছিল শেষ হয় চকবাজার মোড়ে এসে। এ দিনও তার অন্যথা হয়নি। তবে মোর্চার অভিযোগ পুলিশ এসে আচমকা হামলা চালায়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছেন, কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই এদিন চকবাজারে সভা এবং মিছিল করার উদ্যোগ নেয় মোর্চা। সকাল থেকে জমায়েত শুরু হয়। পুলিশ বাধা দিলে, বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজন মোর্চা কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে, দার্জিলিঙের লিম্বু বস্তি এলাকা থেকে এদিন প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, স্প্লিনটার, লোহার টুকরো, ডিটোনেটরের মতো সরঞ্জামও। সরকারি অফিস জবরদখল করে ওই বিস্ফোরক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কে বা কারা ওই বিস্ফোরক রেখে যায়, তা জানতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হেমন্ত গৌতমকে গত শুক্রবার সিকিমের নামচি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই নেতা শিলিগুড়ি লাগোয়া চম্পাসারি এলাকার বাসিন্দা। এ দিন পুলিশ তার দোকানে তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করে। এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। বৈঠক নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। রোশন গিরি নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বৈঠকে রোশন গিরি ছাড়া মো্র্চার আরও ৬-৭ জন নেতা ছিলেন। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানিয়েছে মোর্চা। আর/১০:১৪/০৮ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xRuXvu
September 09, 2017 at 05:49AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন