টোকিও, ২৪ সেপ্টেম্বর- সারা বিশ্ব জুড়ে নানান দেশ, নানান মানুষ। গাত্রবর্ণের ভিন্নতা যাপিত জীবনেও। আচার আচরণে ভিন্নতা। নিজস্ব আলাদা সংস্কৃতি। কিন্তু বহু বিচিত্র সংস্কৃতির মাঝে কী এক মিল যেন সবাইকে অদ্ভুত এক শেকড়ের টানে একসুতোয় গেঁথে ফেলে। জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে অভিবাসীদের নিজ নিজ সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাতে বাংলাদেশসহ বেশ কটি দেশের প্রবাসীদের উদ্যোগে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন অব জাপান। ইন্দোনেশিয়ার অংশগ্রহণকারীরা গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার জাপানের জাতীয় ছুটির দিনে এই সংগঠনের উদ্যোগে টোকিওর ওতা সিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লাজার কনভেনশন হলে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বহুদেশীয় বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক উৎসব। সারা দিনব্যাপী এই আয়োজনের এবারের টাইটেল ছিল মাল্টি কালচার: ওয়ান ফ্যামিলি ফেস্টিভ্যাল। আর এবারের ফেস্টিভ্যালের থিম ছিল বর্ডারলেস অর্থাৎ অনন্ত বা সীমাহীন-অসীম। দেশে দেশে আজ নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছে। ভিন্ন দেশ, ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন সংস্কৃতির মাঝে আপন মহিমায় স্থান করে নিতে হবে নিজ দেশের সংস্কৃতির ভিত। সংস্কৃতির শক্তি যে কী অসীম তার জানান দিতে অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল নানান বর্ণিল আয়োজন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খুদে শিল্পীরা ফেস্টিভ্যালের প্রেসিডেন্ট কাযুহিরো হানদা স্বাগতিক ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা করেন। সাফল্য কামনা করে বক্তব্য দেন সিটি কাউন্সিলর নেয়েমি ইউনুয়ে ও জাপানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোবায়াশি কেইকো। দিনব্যাপী ছিল নানা সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রদর্শনী। ভিনদেশিদের জন্য এ দেশটি কতটা বসবাস সহায়ক তা নিয়ে ছিল নন্দিত ও নিন্দিত মুক্ত আলোচনা। কোরিয়ার অংশগ্রহণকারী এ ছাড়া ছিল বিভিন্ন দেশের স্টল। বাংলাদেশের তানিয়া মিথুনের শব্দালংকার স্টলে ছিল শাড়ির সমারোহ। এই স্টলে ভিনদেশি মেয়েদের শৌখিন শাড়ি পরার যেন প্রতিযোগিতা পড়ে গিয়েছিল। উৎসবে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত। ছিলেন জাপান ও কোরিয়ার নামীদামি তারকারাসহ খ্যাতিমান কৌতুক শিল্পী ও জাদুকর। দর্শক গ্যালারি ভরপুর ছিল জাপানি ও ভিনদেশি দর্শকদের উপস্থিতিতে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, জাপানিদের পাশে বাংলাদেশের স্বরলিপি কালচারাল একাডেমির খুদে শিল্পীদের চমৎকার পারফরমেন্স দর্শকনন্দিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশ ছিল বিশেষ মর্যাদায় আসীন। গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় প্রধান (কো-চেয়ার) বাংলাদেশের রাহমান মনি আর দ্বিতীয়বারের মতো আমন্ত্রিত হয়ে জাপানি উপস্থাপক ইউরি মারিকে ও আয়াকা ইউমাশিরোর সঙ্গে উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশের বিশ্বজিৎ দত্ত বাপ্পা। রাত আটটায় গানে গানে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। বহু প্রবাসী বাংলাদেশি সেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ছিলেন। জন্ম জন্মান্তরের সেই আবহমান বাঙালিত্ব যেন এই শিকড়সন্ধানী মানুষেরা বুকে ধারণ করে চলেন দূর পরবাসে। আর/০৭:১৪/২৪ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2yzuOho
September 24, 2017 at 02:07PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন