সুরমা টাইমস ডেস্ক: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কয়েকটি স্পটে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের।
সীমান্তে স্থলমাইন পেতে রাখার পর কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করার ঘটনাকে মানবাধিকারের চরম লংঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার ঘুমধুম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার পর শনিবার সকাল থেকে আমতল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে তারা।
এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিল মিয়ানমার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। মেরামতের নামে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন এবং সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা এবং সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা।
এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও স্থলমাইন বসানোর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় আশ্রয় নেয়া দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা যাতে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে না পারে।
রাখাইনে সংঘাত শুরু হলেও ২৫শে আগস্ট থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও কিছু কিছু রোহিঙ্গা এখনও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে। কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করায় স্থানীয়দেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
কাঁটাতারের বেড়াকে বিদ্যুতায়িত করার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও মিয়ানমারের এ আচরণের ওপর কড়া নজর রাখছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২০৮ কিলোমিটার সীমান্তের কিছু কিছু অংশে আগে থেকেই কাঁটাতারের বেড়া থাকলে তেমন তদারকি ছিল না।
কিন্তু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে মিয়ানমার বাহিনী। বেড়া মেরামতের জন্য সম্প্রতি ১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মিয়ানমার সরকার।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hvcBKj
September 25, 2017 at 10:02PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন