ঢাকা, ০৭ সেপ্টেম্বর- মঙ্গলবার দুপুরে কথা হলো মোশাররফ করিমের সঙ্গে। তিনি তখন নাটকের সেটে। শুটিং করছেন সাগর জাহানের ল্যাম্পপোস্ট ধারাবাহিকের। তাঁর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ২৯ আগস্ট রাতে যমজ ৮ নাটকের শুটিংয়ের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মধ্য রাতে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের পুবাইল থেকে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। এক দিন ছিলেন উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালেও। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বড় কোনো রোগই খুঁজে পাননি ডাক্তার। তবে পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্রামের। বিশ্রামও সম্ভবত ক্লান্তিকর হয়েছে তাঁর জন্য। ঈদের দুই দিন পর, মঙ্গলবার থেকেই দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। নিজের অসুস্থতা নিয়ে বললেন, শুরুতে ভেবেছিলাম হৃদ্যন্ত্রের কোনো সমস্যা। কিন্তু ডাক্তার সে রকম কিছু খুঁজে পাননি। ওষুধপথ্য দিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। কাজের অতিরিক্ত চাপ থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়েছিল, এমনটাই বলেছেন ডাক্তার। অবশ্য, অসুস্থ হওয়ার আগে কাজের চাপকে থোড়াই কেয়ার করেছেন মোশাররফ। এবার আর পারেননি। পরিচালকদের কমিটমেন্ট দেওয়া ছিল আগে থেকেই। ঈদের নাটকের আগে বেশ কিছুদিন ছিলেন দেশের বাইরে। এ কারণে ঈদের আগে কাজের শিডিউল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। মোশাররফের ভাষায়, কাজের চাপের তো একটা সীমা আছে, আমার ব্যাপারটা সীমার বাইরে চলে গিয়েছিল। এ কারণেই শরীর আর আমার নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। প্রতিবাদ করেছে। যার ফলেই অসুস্থতা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করি, এত কাজের শিডিউল দেওয়ার আগে কি মনে হয়নি যে চাপ পড়ে যাবে? বললেন, আগের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে পারব। আমার একটা কনফিডেন্স ছিল। এ কারণেই নিয়েছিলাম। সুস্থ হয়ে বিশ্রামে ছিলেন এত দিন। ঈদ কাটিয়েছেন ঘরে বসেই। সময় দিয়েছেন পরিবারের সবাইকে। কোথাও বেড়াতেও যাননি। টেলিভিশনও দেখেননি। কথা প্রসঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানালেন সবাইকে। বললেন, আমার স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আসলে শুরুতে চাইনি এত মানুষ জানুক। কিন্তু কীভাবে যেন সবাই জেনে গেছে। তারপর হাসপাতালে এসেছেন, মুঠোফোনে খোঁজখবর নিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, দোয়া করেছেন। মোশাররফ তাঁদের ধন্যবাদ দিলেন না। শুধু কথার ফাঁকে বললেন, তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান কি একটা ধন্যবাদে দেওয়া সম্ভব? উল্টো প্রশ্ন রাখেন তিনি। বললেন, এখন থেকে ঠান্ডা মাথায় কাজ করব। কারণ, আমার কাছে মনে হয়, বাজেটসহ বেশ কিছু কারণে আমাদের ওপর চাপ পড়ে যায়। আর সেই চাপটাই আমাদের শরীরের ওপর দিয়ে যায়। বিরামহীনভাবে কাজ করে যাই। আমরা যারা মাঠে থাকি তাঁরাই শুধু কষ্টটা বুঝতে পারি। এটা অন্য কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কথা শেষ করার আগে দারুণ একটা খবর দিলেন। এখন থেকে এমন চাপ নিয়ে আর শুটিং করবেন না। চরিত্র বাছাইয়ে রাখবেন বিশেষ নজর। এসব নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করেছেন বিশ্রামের কয়েক দিন। দর্শকের জন্যই যখন কাজ, তখন সেরাটাই তো দেবেন তিনি। সেটা চাপ নিয়ে তো আর সম্ভব নয়। এখন যেমন ভালো আছি, সে রকম ভালো ও সুস্থ থেকেই কাজ করতে যাই। এ ক্ষেত্রে সবার দোয়া যেমন লাগবে, তেমনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতাও লাগবে, এমনটাই মনে করেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। আর/১৭:১৪/০৭ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2j6b6Gs
September 08, 2017 at 12:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন