কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর- রাজ্য জুড়ে দলের নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস চালু করতে চাইছে বিজেপি৷ অথচ, দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করলেও, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় দলের নিজস্ব জমিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস৷ ২০১৯-এ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন৷ আর, তার আগেই আগামী বছর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ এ দিকে, খোদ ঘাসফুল শিবিরেরই বিভিন্ন অংশে এমনই চর্চা জারি রয়েছে, ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ অন্যদিকে, বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনও যে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেই বিষয়টি ওয়াকিবহাল মহলের বিভিন্ন অংশেও অজানা নয়৷ তার উপর, পশ্চিমবঙ্গে এখন যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি, সেই বিষয়টিও খোদ ঘাসফুল শিবিরের বিভিন্ন অংশেরও অজানা নয়৷ আর, এই ধরনের পরিস্থিতিতে, দলের সাংগঠনিক ভিত পোক্ত করতে আগামী বছর পরবর্তী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্য জুড়ে নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস চালু করতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷ যার জেরে, ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির ৩৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৬টি জেলার পার্টি অফিস প্রায় চালু হওয়ার পথে৷ এবং, আগামী ছ-সাত মাসের মধ্যে এই পার্টি অফিসগুলি চালু হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তবে, শুধুমাত্র নিজস্ব জমিতে রাজ্য জুড়ে ঘাসফুল শিবিরের পার্টি অফিসের বিষয়টিও নয়৷ কারণ, খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের আদি শিবিরের বিভিন্ন অংশে এমন চর্চাও জারি রয়েছে, ক্ষমতার মোহ ক্ষতি করছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিত৷ দলের এই ধরনের পরিস্থিতির বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে খোদ ঘাসফুল শিবিরেরই বিভিন্ন অংশ৷ অথচ, রাজ্য জুড়ে যাতে সাংগঠনিক ভিত পোক্ত করে তোলা যায়, তার জন্য দলের তরফে সেভাবে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না৷ এক সূত্রের কথায়, জেলা কমিটি রয়েছে৷ অথচ, ব্লক স্তরে সভাপতি থাকলেও কমিটির তেমন কর্মকাণ্ড নেই৷ দলনেত্রী যখন কোনও নির্দেশ দিলেন, তখন সেই নির্দেশ পালন করা হল৷ কিন্তু, বছরভর সেভাবে কোনও কর্মকাণ্ড নেই৷ এই ধরনের পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক ভিত কীভাবে পোক্ত হয়ে উঠবে? তবে, শুধুমাত্র এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও নয়৷ কারণ, এক সূত্রের কথায়, যখন যিনি যে জেলার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন তাঁর ব্যবস্থায় চলেছে পার্টি অফিস৷ ব্লক স্তরেও একই ধরনের পরিস্থিতি৷ ওই সূত্র বলেন, রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব জমিতে নেই পার্টি অফিস৷ দলের সাংগঠনিক ভিত যাতে পোক্ত থাকে, তার জন্য রাজ্য জুড়ে নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস এবং বছরভর স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও না কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত৷ একই সঙ্গে ওই সূত্রের কথায়, ২০১১-য় যখন ক্ষমতায় এসেছিল দল, তখনও রাজ্য জুড়ে সাংগঠনিক ভিত পোক্ত ছিল না৷ অথচ, ২০১১-র পর থেকে সংগঠন পোক্ত করে তোলার জন্য সুযোগ ছিল৷ কিন্তু, দলের সাংগঠনিক ভিত পোক্ত রাখতে রাজ্য জুড়ে নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিসের কি আদৌ প্রয়োজন? কী বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এই বিষয়ে জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়৷ তবে, তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি৷ যদিও, এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অধিকাংশ জেলায় এবং ব্লকে ভাড়ায় নেওয়া জায়গায় আমাদের পার্টি অফিস রয়েছে৷ তা হলে, দলের নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস গড়ার জন্য কি কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস গড়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই৷ নিজস্ব জমিতে পার্টি অফিস না থাকার জন্য সাংগঠনিক ভিত পোক্ত রাখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে? তিনি বলেন, না৷ বরং, আমাদের দলের ছেলেরা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন৷ আর/১৭:১৪/০১০ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vXlA0V
September 10, 2017 at 11:11PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন