গৃহবধূ থেকে সেলিব্রিটি! কল গার্লের মাধ্যমে সেক্স-র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস

গৃহবধূ থেকে সেলিব্রিটি! কল গার্লের মাধ্যমে সেক্স-র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস

কলকাতা২৪*৭ ● গুজরাতের রাজধানী আমেদাবাদে একটি হাইপ্রোফাইল সেক্স র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়৷ অনলাইনের মাধ্যমে এই র‍্যাকেটটি চালানো হত এবং দেশের বিভিন্ন শহরে যুবতীদের যোগান দেওয়া হত৷ র‍্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন অফার দিত।  মেয়েদের তালিকায় কলেজ ছাত্রী, গৃহবধূ, মডেল, টিভি অভিনেত্রী ও সেলিব্রিটিও ছিলেন৷

হোয়াটসঅ্যাপে একটি কলগার্লের ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেও এই র‍্যাকেটের কথা প্রকাশ্যে আসে৷ আসলে গ্রাহকদের কাছে পাঠান এই ছবি ফাঁস হয়ে যায় আর এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ৷ পুলিশি তদন্তে ওই ওয়েবসাইটটিরও খোঁজ পাওয়া যায় যার মাধ্যমে র‍্যাকেট চালানো হত৷ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমের শিক্ষিতা সুন্দরীদের সঙ্গে সহবাসের অফার দেওয়া হত৷

এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,  এই র‍্যাকেট সারা দেশেই সক্রিয় ছিল৷ অনলাইনে বুকিংয়ের পরেই দেশের বিভিন্ন শহরে মেয়েদের পাঠান হত৷ এমনকি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইচ্ছুক কলগার্ল ও জিগিলোদেরও নেওয়া হত৷ এই ওয়েবসাইটে কোনও এক গ্রাহককে প্রায় ১০-১১টি মেয়ের ছবি দেখান হত৷ এদের মধ্যে যাকে পছন্দ হতে তার সঙ্গে একটি রাত কাটানোর জন্য ১৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা নেওয়া হত৷ এই ওয়েবসইটে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে তাদের কলগার্লরা কন্ডোম ছাড়াও সুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক তৈরি করতে পটু৷ এই র‍্যাকেটের সঙ্গে যুক্তরা অনলাইন বুকিংয়ের আগে গ্রাহকদের থেকে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম নিত৷

স্টিং অপারেশনে যে কথাবার্তা হয় তাতে এক এজেন্ট বলেছেন, একরাতের জন্য অন্তত ১২ হাজার টাকা দিতে হবে৷ যদিও দু’ঘন্টার জন্য ছয় হাজার টাকা দিতে হবে৷ সে এমনও বলে ১৭ বছরের কুমারী মেয়ে পতে হলে গ্রাহককে ৬০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে৷ এরপর ফের এজেন্টকে ফোন করা হলে সে যুবতীর দাম বাড়িয়ে দেয়৷ সে বলে আমেদাবাদের একটি তিনতারা হোটেলে গ্রাহক ও যুবতীর জন্য আলাদা ঘর নেওয়া হবে যেগুলি একেবারেই পাশাপাশি থাকবে৷ রাতে যুবতী চুপচাপ গ্রাহকের ঘরে চলে যাবে৷ এজেন্ট তাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য জানায়, রাতে পুলিশের রেড হলে যুবতী আবার নিজের ঘরে চলে যাবে ফলে তারা দুজনেই সুরক্ষিত থাকবে৷

তদন্তে জানা যায় গুজরাটের ভরুচ থেকে ওই র‍্যাকেটি চালানো হত এবং তারা মেয়েদের আমেদাবাদে পাঠাত৷ এছাড়াও পাটনা, কলকাতা, জামশেদপুর, ভাগলপুর, রাঁচি, রায়পুর, ইটানগর, ভুবনেশ্বর, সম্বলপুর. জয়পুর, আজমের, মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চন্ডীগড় ও আম্বালাসহ দেশের অন্যান্য শহরেও কলগার্লদের পাঠান হত৷

যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই দেহব্যবসা চলত সেখানেই কোনার দিকে কলগার্ল ও জিগোলোদের ভর্তির বিকল্প ছিল৷ ওই ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিরা অনেক বেশি টাকা রোজগারের লোভ দেখিয়ে ছেলে-মেয়েদের আকর্ষিত করত৷ এছাড়াও বিভিন্ন শহরের দেহব্যবসায়ীদেরও তারা নিজেদের র‍্যাকেটে সামিল করে তাদের মাসিক প্যাকেজে রাখত৷

এই মামলা ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি হিমাংশু শুক্লা জানিয়েছেন, এই ধরনের র‍্যাকেট বন্ধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ গুরুকুলের কাছে একটি হোটেলে মহিলা পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে অনলাইন সেক্স র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেছে৷ এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ এরপরে এই র‍্যাকেটের দালালদেরও গ্রেফতার করা হবে৷

The post গৃহবধূ থেকে সেলিব্রিটি! কল গার্লের মাধ্যমে সেক্স-র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস appeared first on Comillar Barta.

from Comillar Barta http://ift.tt/2y2aFnm

September 25, 2017 at 09:54AM