নিজস্ব প্রতিবেদক ● একেক সময় কুমিল্লার একেক উপজেলায় দেখা যায় এ হাতি। উদ্দেশ্য বিভিন্ন বাজার ঘুরে ঘুরে চাঁদা আদায় করা। আর হাতির পেছনে তো উৎসুক জনতাসহ শিশু কিশোরদের ভিড় থাকেই। অধিকাংশ মানুষ বিষয়টিকে নিছকই আনন্দ বিনোদন মনে করলেও হাতি দিয়ে এভাবেই প্রতিদিন হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমন হাতি মার্কা চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ জরালো প্রতিবাদ না করলেও মনে মনে কম বেশি সকলেই নাখোশ।
সম্প্রতি এ হাতি দেখা যাচ্ছে চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে বঙ্গবাহাদুরের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অর্থ। এর পরিমান ব্যবসায়ী ভেদে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকাও হয়ে থাকে। অনেককে বাধ্য করা হয় টাকা দিতে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কারোরই কিছুই করার নেই। সবাই নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখে নিরীহ পশু দিয়ে করা নিরব চাঁদাবাজি।
শুধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই নয় অভিযোগ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও টাকা তুলতে দেখা গেসে এ হাতিকে। মহাসড়কে কোনো যানবাহন দেখলেই তার পথ আগলে দাঁড়িয়ে গেছে এ হাতি। শুঁড় বাড়িয়ে দিয়েছে চাঁদার জন্য। টাকা না দিয়ে মহাসড়ক পার হতে পারেনি ট্রাক, বাস, অটোরিকশা এমনকি মোটরসাইকেলও।
এর আগে এ হাতি দেখা গেছে জেলার দাউদকান্দি, হোমনা, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, লাকসাম, মনোহরগঞ্জসহ প্রায় সব উপজেলায়।
যে হাতিটি এই চাঁদাবাজি চালিয়েছে, তার নাম রোমিও। আর তার মাহুতের নাম রাজু।
রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সার্কাস দেখায় তারা। মেলা শেষ হয়ে গেছে। শো আর জমছে না। তাই টাকার বড় টান। তাঁর দাবি, এটা চাঁদাবাজি নয়। হাতির খাবার জোগাড় করতেই রোমিওকে নিয়ে ভিক্ষা করছেন তিনি।
The post কুমিল্লায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি! appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2yA6prq
September 30, 2017 at 07:30PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন