নিজস্ব প্রতিনিধি:: কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে অনেকটা আত্মগোপনে আছেন জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া গ্রামে স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রাবিয়া বেগম।
রাবিয়া বেগম জানান, বাবা নেই, কোথায় আশ্রয় নেব। স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের কথা বলতে বলতে তার কণ্ঠ রোধ হয়ে আসে। দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রুধারা। স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে ২৮শে সেপ্টেম্বর তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ৩০শে সেপ্টেম্বর শনিবার মাঝ রাতে বদই মিয়া বাড়িতে ফিরে হাত পেছন দিকে নিয়ে তাকে বেঁধে ফেলেন। দড়ি ও গামছা দিয়ে শরীর বেঁধে গোপনাঙ্গে লাথি ও চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মরিচের গুঁড়া গোপনাঙ্গে ঢেলে দেন।
চিৎকার করলে দা দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে ফেলেন। রোববার সারা দিন শরীরের যন্ত্রণা নিয়ে বাড়িতে কাতরাতে থাকেন।
পরদিন সোমবার সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। মঙ্গলবার দুপুরে জুড়ী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন এবং কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার রাতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে মাঝরাতে হাসপাতাল ছাড়েন।
এর পর থেকে আত্মগোপনে আছেন। গতকাল শুক্রবার (৬ই অক্টোবর) নির্যাতিতা রাবিয়া বেগম জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটিতে ফোন দিয়ে বদই মিয়া তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তিনি এ ধরনের বর্বর হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2z5sA9Y
October 07, 2017 at 10:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন