সুরমা টাইমস ডেস্ক:: খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করতে কক্সবাজার গেছেন। সেখানে তিনি কি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন তা আমরা জানি না।
আদালতে গিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) কি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তা আপনারা সবাই জানেন।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় ‘বাংলাদেশ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে গোপালগঞ্জ জেলা শিশু একাডেমি হল রুমে অনুষ্ঠিত জনসচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৪২ ধারা খালেদা জিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। আদালতে খালেদা জিয়া তার জবানবন্দি না দিয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়েছেন। আর এ কাজ করে তিনি আদালতের অনুকম্পা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আদালতের হাত-পা বাঁধা, আদালত কাউকে অনুকম্পা দিতে পারেন না।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আর মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদ্যস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, বাঙালি জাতিকে পিছিয়ে দিতে বিএনপি-জামায়াত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণকে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। তাই তিনি রোড শো করে ত্রাণ বিতরণ করতে কক্সবাজার যাচ্ছেন।
ফারুক খান আরো বলেন, খালেদা জিয়া যদি সত্যিকার ত্রাণ বিতরণ করতে যেতেন তাহলে ঢাকা থেকে প্লেনে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে ফিরে আসতেন। কিন্তু তিনি তা না করে একটি বিরাট গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করেছেন। তিনি হয়তো ১ শ লোককে ত্রাণ বিতরণ করবেন কিন্তু ১০ লাখ লোকের ত্রাণ বিতরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি তারপরও তাকে স্বাগত জানাই। রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আড়াই মাস লন্ডনে ঘুমানোর পর তার ঘুম ভেঙেছে। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তার আরো আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও এফএও-এর প্রতিনিধি এ কে এম নুরুল আফসার।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বক্তব্য রাখেন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, খাদ্য ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এর আগে ‘বাংলাদেশ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়ণে জনসচেতনতা’ সৃষ্টি করতে জেলা শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিশু একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zYe3gE
October 30, 2017 at 01:29AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন