নিজস্ব প্রতিনিধি :: সম্মেলন না করে কর্মীসভা করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে কর্মীসভায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রচার সম্পাদক ম. সাইফ বাবু। শাখা সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, সদস্য সাজিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন।
কর্মীসভায় অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলে আশ্বস্থ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কর্মীসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে হাজারো অভিযোগ তুলে ধরেন জুনিয়ররা। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নতুন নেতৃত্বের আগে হল কমিটি করার প্রস্তাব দিলে কেন্দ্রীয় স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমরা হল কমিটি নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি, আমরা নতুন নেতৃত্বের খোঁজে এসেছি’। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রচার সম্পাদক ম. সাইফ বাবু এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘আপনারা হল কমিটি চান কিনা’ প্রশ্ন করলে সমস্বরে সবাই না করেন। পরবর্তীতে বক্তব্য দিতে এসে জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘চারবছরে যে হল কমিটি হয়নি, তার আশা করা এখন বৃথা’। তারপরও যদি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা পারেন তাহলে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে হল কমিটি দিবেন। তা না হলে নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন তারা হল কমিটি দিবেন।
অন্তত পঞ্চাশজন নেতাকর্মী নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন যার মধ্যে অনেকেই ছয় সাত বছর ছাত্রলীগের রাজনীতি করেও পদবঞ্চিত বলে দাবি করেন। সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান জিয়া সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি আপনার ব্যাচমেট, জামায়াত-শিবির বিরোধী আন্দোলনে যে কয়জন শিক্ষার্থী সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো তাদের মধ্যে আমি থাকলেও শুধুমাত্র গ্রুপিং রাজনীতির কারণে আজ আমি পদবঞ্চিত। অথচ আপনারা অনেক বিতর্কিতদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।’ জবাবে ইমরান খান বলেন, ‘বদরুল ইস্যুতে বর্ধিত কমিটিতে আপনারা জায়গা পাননি।’ এসময় মাইক কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ম. সাইফ বাবু বলেন, ‘নতুন কমিটিতে ত্যাগীদের জায়গা দেয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হতাশাঃ ‘আজ আপনারা ছাত্রলীগের নীতি বিসর্জন দিয়ে ভাইলীগ করেন, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির সম্মান ক্ষূন্ন হচ্ছে’। বক্তব্য দিতে এসে গ্রুপিং রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রলীগের আদর্শের রাজনীতি করার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন এসময় শাখা সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ কর্মীসভা, অথচ অডিটোরিয়াম খালি কেন?। তারা হতাশা প্রকাশ করেন ‘শাবি ছাত্রলীগে কোনো কর্মী নেই, সবাই নেতা। যার ফলে গ্রুপিং রাজনীতি ও বিতর্কের অবসান নেই এই ইউনিটটিতে।’ অনেক নেতার ছাত্রত্ব নেই, অনেকেই ড্রপ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অবস্থান করছেন এমনটা সামনে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না বলেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম. সাইফ বাবু বলেন, ‘ অনেকটা সময় গিয়েছে এই ইউনিটটিতে। অচিরেই নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা দেয়া হবে কেন্দ্র থেকে। গ্রুপিং বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের রাজনীতি করার পরামর্শ দেন উভয় নেতাই। শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাজিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zd46M0
October 10, 2017 at 11:25PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.