নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৬ই অক্টোবর) রাত ১০টা ২৫ মিনিটে খাদিজাকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তাঁর স্বামী তাজ উদ্দিন। রাত ১১টা ১০মিনিটে খাদিজা মারা গেলে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যান তিনি।
খবর পেয়ে রাতেই খাদিজার স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ গ্রহণ করেন। শনিবার (৭ই অক্টোবর) খাদিজার ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
খাদিজা সুনামগঞ্জের ছাতক থানার ইসলামপুর ইউনিয়নের আফজালপুর গ্রামের আলিম উদ্দিনের মেয়ে ও একই জেলার ছাতক থানার গোবিন্দগঞ্জের বেরাজপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের স্ত্রী।
খাদিজার পিতা আলিম উদ্দিন জানান- সে অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। আমার মেয়েকে তার স্বামী, শাশুড়ি মিলে সব সময় মারধর করতেন।এ বছর ঈদুল ফিতরের আগে আমিসহ কয়েকজন মিলে মেয়ের স্বামীর বাড়িতে গিয়ে সালিশের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক বিরোধ শেষ করি। তারা আমাকে কথা দিয়েছেন আর আমার মেয়েকে অত্যাচার করবেন না। তিনি আরও জানান- গত ঈদুল আযাহার সময় মেয়ে বাড়িতে এসে প্রায় ১২দিন থেকে যায়। এরপর সে স্বামীর বাড়িতে গেলে আর আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আমরা যোগাযোগ করতে চাইলেও তারা স্বামী কোন ধরণের যোগাযোগ করতে দিত না। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
খাদিজার আত্মীয় জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল করিম নেওয়াজ জানান- খাদিজাকে হাসাপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর প্রায় ১ঘণ্টা পর যখন সে মারা যায় তখন তার স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এরপর খাদিজাদের পরিবারকে জানানো হয় তাদের মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়ে তার পরিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মেয়ের লাশ হাসপাতালের ওয়ার্ডে পড়ে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- খাদিজা ওসমানী হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ড (মেডিসিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ওই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার তার ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছেন বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বক্ত্যব নেয়ার জন্য খাদিজার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
খাদিজার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী হাসপাতালের পুলিশের এক এসআই জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদিজার বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটেও চিকিৎসক এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তার শরীরে আর কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না। তিনি জানান-খাদিজার শারীরিক অবকাঠামো দেখে মনে হচ্ছে তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2wE1BRo
October 07, 2017 at 11:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন