সুরমা টাইমস ডেস্ক:: যেকোন মুহূর্তে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ডেফকন ওয়ার্র্নিং সিস্টেম। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় সামরিক হামলা চালাতে পারে। আর এর টার্গেট হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা চার মাত্রার সতর্কতা দিয়েছে। তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার আগে কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগে সাড়া দেবে না পিয়ংইয়ং। এমন ঘোষণা দিয়ে তারা স্পষ্ট করে বলেছে, কূটনৈতিক উপায়ে সঙ্কট সমাধানে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ওদিকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বার বার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ সঙ্কট সমাধানে একমাত্র উপায় হতে পারে সামরিক হামলা। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সিএনএনের কাছে পিয়ংইয়ংয়ের পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক কোনো যোগাযোগের আগে আমরা তাকে একটি বার্তা পরিষ্কার করে জানাতে চাই। তাহলো, যেকোনো আগ্রাসন মোকাবিলার প্রতিরোধযোগ্য ও আক্রমণাত্মক সক্ষমতা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। উল্লেখ্য, এমনিতেই এ দুটি দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে উত্তেজনা তুঙ্গে। যেকোনো সময় উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার সমুহ আশঙ্কা বিরাজ করছে। তার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার এমন বক্তব্যকে উস্কানি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। তিনি তো এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার গোলগাল নেতা কিম জং উনকে ‘রকেট ম্যান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে অবমাননা করার চেষ্টা করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে কিম জং উনকে এ নামে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি কর্মকা- অব্যাহত রেখে উত্তর কোরিয়ার নেতা আত্মহত্যার মিশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এর জবাবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা একটি বিবৃতি দেয়। তাতে তারা ট্রাম্পকে ‘ভিমরতিগ্রস্ত বৃদ্ধ’ বা ডোটার্ড বলে আখ্যায়িত করে। গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং ট্রাম্পকে সতর্ক করে দেয়। বলে, ট্রাম্পের বেপরোয়া আচরণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপ হামলার শিকার হতে পারে। এ দ্বীপটি উত্তর কোরিয়া থেকে ২১০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের ভিতরে অবস্থিত। সম্প্রতি কালক্ষেপণ করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। টিলারসন কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়া সঙ্কটের সমাধান করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ট্রাম্প বলেছেন, কূটনৈতিক চ্যানেলে কিম (জং উনের) সঙ্গে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে সময় নষ্ট করছেন টিলারসন। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিতে একটিই জবাব হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তিনি সেখানে সামরিক হামলার দিকে ইঙ্গিত করেন। ওদিকে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আশ্বস্ত করেছেন টিলারসন। তিনি বলেছেন, প্রথম বোমাটি না পড়া পর্যন্ত কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাত্তিসের প্রসঙ্গা তুলে ধরে বলেন, সামরিক হামলাই শেষ সুযোগ হওয়া উচিত কিনা তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চেয়ে কেউ ভাল বুঝবেন না। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন কূটনৈতিক উদ্যোগে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hMz9Xb
October 17, 2017 at 11:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.