নিজস্ব প্রতিনিধি:: জকিগঞ্জের ইছামিত ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ছাইফুল আলমকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে এনাম আহমদ নামের একজনকে জকিগঞ্জ থানার এসআই ইমরুজ তারেক আটক করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছয়ফুলের জানাযার নামাজের সময় হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী একজনের তথ্যেমতে পুলিশ সালেহপুর গ্রামের আব্দুল গণির পুত্র এনাম আহমদকে আটক করে।
আটকের পর সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
আটক ব্যক্তিকে একমাত্র আসামী করে নিহত কলেজছাত্রের বাবা আব্দুল খালিক বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত এনাম আহমদকে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. খাইরুল আমিনের আদালতে এ হত্যাকান্ডের দায়স্বীকার করে এনাম জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালতে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই ইমরুজ তারেক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক এনাম আদালতে হত্যার দায়স্বীকার করে জবানবান্দি দেয়ায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়নি। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। কলেজ ছাত্র ছাইফুলকে হত্যাকান্ডের সময় একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তার দেয়া তথ্যে মতে ঘাতক এনামকে আটক করা হয়েছে।
ঘাতক এনাম এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ছাইফুলের বাড়ির পাশের খালে তার পাতানো ডরি (মাছ ধরার ফাঁদ) থেকে ছাইফুল মাছ তুলে নিতে দেখে সে (এনাম) ছাইফুলের মাথা কাদায় ঢুকিয়ে দেয় এবং অন্ডকোষে চাপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। খালের কাঁদামাটি দিয়ে ছাইফুলের লাশ ঢেকে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঐ গ্রামের একজন। প্রত্যক্ষদর্শী ঐ ব্যক্তি তখন গাছ থেকে সুপারী পাড়তে ছিলেন। কিন্তু ভয়ে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি কাউকে না বললেও পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে কলেজছাত্র ছাইফুল আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো। সোমবার সকালে বাড়ীর পাশের একটি খাল থেকে দূর্গন্ধ ছড়ালে লোকজন সেখানে গিয়ে কাদাচাপা অবস্থায় ছয়ফুল আলমের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে। মঙ্গলবার রাতেই ছয়ফুলের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ywEBW1
October 19, 2017 at 12:04AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন