বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ব্লু হোয়েল গেম! আতঙ্ক নয়, সতর্কতা জরুরি

ফেসবুক সতর্কবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজ নিজ বন্ধুদের বিশেষ বার্তা পাঠাচ্ছেন:- সাবধান, বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ব্লু হোয়েল গেম! এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে কৌতূহল থেকে জানতে চাইছেন পুরো ব্যাপারটা। কেউ কেউ আতঙ্কও ছড়াচ্ছেন।

আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক অবশ্যই থাকা উচিত। বিশেষ করে উঠতি বয়সীদের দিকে খেয়াল রাখা, ‘দেখি কী হয়’-এর কৌতূহল অনেক সময়ই যাদের নিয়ে যায় ভুল পথে। এ কারণে সচেতনতা বেশি জরুরি। ভুল তথ্য প্রচার বা গুজব রটানো উল্টো এই গেমটির প্রচারণায় বেশি সাহায্য করবে। ফলে, সঠিক তথ্য জেনে রাখাটাই বেশি দরকার।

ব্লু হোয়েল গেম খেলে হলিক্রসের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে—এমন একটি গুঞ্জনের কারণে ফেসবুক বেশ সরগরম। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকাও এমন খবর দিয়েছে। যদিও দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকার এক প্রতিবেদক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‌“ব্লু হোয়েল গেমস খেলে হলিক্রসের মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে যে খবর চাউর হয়েছে, তার এখন পর্যন্ত কোনো ভিত্তি নেই। মেয়েটার শরীরে ব্লু হোয়েলের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার আত্মহত্যার ধরনটিও আরও আট-দশটা আত্মহত্যার ঘটনার মতোই। মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তাঁরা তাকে ভয়ানক রকম নজরদারির মধ্যে রেখেছিলেন। অহেতুক সন্দেহ করতেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিত্বের বড় ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় হয়তো ঘটনাটি ঘটেছে। কে জানে, বাবা-মাও হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারছেন। কিন্তু এখন ব্লু হোয়েল গেমে সান্ত্বনা খুঁজছেন!”

ঘাতক এই গেমের কারণে অবশ্য বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেই একটি আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ভারতীয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে গড়া বেঞ্চ সেই মামলা পরিচালনা করছেন। আইনজীবী সি আর জয় সুকিন আরজি জানান, অনলাইনে যেন এই গেম পাওয়া না যায় এবং এই গেমের খেলার ওপর সরকার যেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এই গেমটি মানুষকে আত্মহত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি এমন কিছু ডেয়ার বা চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, যা পরে খেলোয়াড়ের আত্মহত্যায় পরিণতি নেয়।

বাংলাদেশেও পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। এ রকম ঘৃণ্য একটি গেমের নেশায় যেন কিছুতেই না পড়ে এ দেশের শিশু-কিশোর কিংবা তরুণেরা। পারিবারিক ও বন্ধু মহলে সচেতনতা তৈরি জরুরি। একই সঙ্গে সরকারি তরফেও উদ্যোগ জরুরি। এ গেম যেন কিছুতেই পাওয়া না যায় বাংলাদেশে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৌতূহলে কোনো ধরনের নেশার ফাঁদে পা দেওয়া মস্ত বড় ভুল। সেটা গেমের নেশাও হতে পারে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2z9RdCy

October 10, 2017 at 12:10AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top